News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:১১, ১৬ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১২:১০, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

জনতার ক্ষোভের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা

জনতার ক্ষোভের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকে রানাঘাটে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে জনতা ।
সোমবার সন্ধ্যায় রানাঘাটের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়কে আটকে দেওয়া হয়।

বৃদ্ধ সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রায় ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অপরাধীরা গ্রেফতার না হওয়ায় বিক্ষুদ্ধ  এলাকাবাসি তার গাড়ি আটকে রাখে।

মুখ্যমন্ত্রী কনভেন্ট ঘুরে হাসপাতালে ওই সন্ন্যাসিনীকে দেখে কলকাতায় ফেরার পথে মিশন গেটের সামনে তার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। এসময় প্রায় হাজারখানেক মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

ভারতীয় মিডিয়া জানায়, পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর তাকে ছোট ঘটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, পরে তিনিই রানাঘাটের কনভেন্টে বৃদ্ধ সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন।

উতোমধ্যে, রানাঘাটের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের কাছে সবিস্তার রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয় হয়েছে।

ঘটনার দিন, নদিয়ার জেলাশাসক পি বি সালিম এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ জেলা পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পর তাঁরা রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নির্যাতিতা ‘মাদার সুপিরিওর’ এর সাথে দেখা করেন। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নির্যাতিতার বিষয়ে তারা কথাবার্তা বলেন।

জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার স্কুল থেকে ঘুরে যাওয়ার পরই সেখানে  উপস্থিত হন রাজ্য পুলিশের ডিজি, জিএমপি রেড্ডিসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সাথে ছিলেন সিআইডির এডিজি রাজীব কুমারও। এসময় ‘মাদার সুপিরওর’এর অবস্থা স্থিতিশীল বলে তারা জানান।

এদিকে, ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও দুষ্কতীদের গ্রেফতার করতে না পারায় এলাকাবাসিদের মধ্যে জমা হচ্ছে চাপা ক্ষোভ। স্কুলের পরীক্ষা শেষ হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ারও আভাস দিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, ১৩ মার্চ গভীর রাতে রানাঘাটের একটি কনভেন্টে লুটপাট চালায় এক দল দুষ্কৃতিকারী। এসময় ধর্ষণের শিকার হন স্কুলের সত্তরোর্ধ্ব এক সন্ন্যাসিনী। মারধর করা হয় অন্য সিস্টারদেরও। শনিবার সকালে ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীরা। দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে চলে রেল ও সড়ক অবরোধও। পরে পুলিশ এসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে  দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তারা।
 
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়