News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

নিজ জন্মভূমিতে ফিরে ‘অভিভূত’ মালালা ইউসুফজাই

নিজ জন্মভূমিতে ফিরে ‘অভিভূত’ মালালা ইউসুফজাই

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বে নারীশিক্ষাবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন দেশটির মানবাধিকার কর্মী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। 

দীর্ঘদিন পর নিজ দেশে ফিরতে পেরে বেশ ‘অভিভূত’ ও আনন্দিত’ বলে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন তিনি। 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নারীশিক্ষা ও মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন মালালা বিশ্বমঞ্চে আলোচনায় আসেন ২০১২ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে। নারীশিক্ষার পক্ষে কথা বলায় সেই সময় তালেবান জঙ্গিদের নিশানা হয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের পশতুন অধ্যুষিত সোয়াত উপত্যকায় তালেবান জঙ্গিরা স্কুল থেকে ফেরার পথে কিশোরী মালালার মাথায় গুলি চালায়।

গুরুতর আহত মালালাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্রিটেনের বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর নিজের অলাভজনক সংস্থা মালালা ফান্ড গঠন করেন। ২০২০ সালে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি, দর্শন এবং অর্থনীতিতে স্নাতক শেষ করেছেন ইউসুফজাই।

২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন মালালা। ২০১৭ সালে জাতিসংঘ তাকে শান্তির দূত হিসেবে নিয়োগ করে। 

শনিবার ইসলামাবাদের সম্মেলনে মালালা বলেন, পাকিস্তানে ফিরতে পেরে আমি সত্যি সম্মানিত, অভিভূত এবং আনন্দিত। এই সম্মেলনে মালালার সঙ্গে তার মা-বাবাও অংশ নিয়েছেন। 

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ মালালা বলেন, ‘আমি সকল মেয়ের স্কুলে যাওয়ার অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলব। আফগান নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কেন তালেবানদের নেতাদের জবাবদিহি করতে হবে- সে ব্যাপারেও বলব।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের এই শীর্ষ সম্মেলনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভিন্ন দেশের শিক্ষা খাতের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। যদিও পাকিস্তানের প্রতিবেশী আফগানিস্তান এই সম্মেলন প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশ্বে আফগানিস্তানেই একমাত্র দেশ; যেখানে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে।

শনিবার সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান-সহ পুরো মুসলিম বিশ্ব মেয়েদের শিক্ষার ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

শেহবাজ বলেন, মেয়েদের শিক্ষার অধিকার অস্বীকার তাদের কণ্ঠস্বর ও পছন্দ এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার শামিল। 

পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী খালিদ মকবুল সিদ্দিকী এএফপিকে বলেছেন, সরকার এই সম্মেলনে আফগানিস্তানকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু আফগান সরকারের কেউ সম্মেলনে অংশ নেননি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়