লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানলের মূল কারণ ঝড়ো বাতাস

দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ‍্যাঞ্জেলেস। পাঁচ দিনেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। কিছু কিছু স্থানের দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও এখনো আগুন জ্বলছে ছয় স্থানে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বৃষ্টির অভাব আর ঝড়ো বাতাসই মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাবানলটি স্থানীয় সময় শনিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে দিক পরিবর্তন করে আরও পূর্ব থেকে উত্তর–পূর্ব দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ কারণে জ্বলতে থাকা আগুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দশ হাজারের বেশি অবকাঠামো আগুনে পুড়ে গেছে।

রয়টার্স জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের ৪টি এলাকায় এখনো আগুন জ্বলছে। নতুন করে আরও ১ হাজার একর এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এক লাখের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভয়াবহ দাবানলে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। 

এতে বলা হয়, অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা দাবানল নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, পরের সপ্তাহের শুরুতে তীব্র বাতাস হতে পারে। এতে তাদের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

গত মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির আশপাশে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লস অ্যাঞ্জেলেসকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

এ দিকে দাবানলের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। দাবানল নিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে দাবানল নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন বাইডেন।