News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

‘মনে হচ্ছে একটি পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে’

‘মনে হচ্ছে একটি পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে’

ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসের বিস্তীর্ণ এলাকা। দ্রুতগতিতে দাবানল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। 

এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে ধ্বংস হচ্ছে রাস্তার পাশে থাকা বিলাসবহুল বাড়ি-ঘর ও গাড়ি। এ দাবানলে ইতিমধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা দাবানলের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেছেন, মনে হচ্ছে এই এলাকাগুলোয় একটি পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো এখনো অনিরাপদ হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দাবানল থেকে আনুমানিক ৫৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হতে পারে। এটি মার্কিন ইতিহাসে অন্যতম বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ছয়টি আলাদা দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে তিনটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পরিস্থিতির অবনতির কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রায় ১ লাখ ৭৯ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে তৈরি করা হয়েছে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র।

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।

এ দাবানলকে ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার ও পুনর্বাসনে কাজ করছে প্রশাসন ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলো। 

অন্যদিকে দাবানলের কারণে রোবোটিক প্ল্যানেটারি এক্সপ্লোরেশনের প্রধান কেন্দ্র জেট প্রপালশন ল্যাব বা জেপিএল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে নাসা।

স্পেসডটকম এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ইটন কাউন্টিতে দাবানলের আগুনের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের ঠিক উত্তরে সান গ্যাব্রিয়েল পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত জেপিএল সাময়িকভাবে নাসা বন্ধ করেছে।

জেপিএল-এর পরিচালক লরি লেশিন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, জরুরি বিভাগের কর্মী ছাড়া বন্ধ রয়েছে জেপিএল। এখন পর্যন্ত আগুনে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি কেন্দ্রটির। তবে দাবানলটি ল্যাবের খুব কাছেই। শত শত জেপিএল কর্মীকে তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন দাবানলে।

জেপিএল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অর্থায়নে চললেও এটি পরিচালনা করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি। নাসার অনেক হাই-প্রোফাইল রোবোটিক মিশন পরিচালনা করে এই কেন্দ্রটি।

জেপিএল পরিচালিত কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে পার্সিভ্যারেন্স, মার্স রোভার কিউরিওসিটি ও পাঁচশ কোটি ডলারের ইউরোপা ক্লিপার, যেটি বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদ ইউরোপাতে অনুসন্ধানের জন্য সম্প্রতি চালু হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়