News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক  || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:১০, ৩ জানুয়ারি ২০২৫

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে যা বলছে ভারত

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে যা বলছে ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে এই মুহূর্তে ভারতের নতুন করে কিছু বলার নেই বলে উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান এখন পর্যন্ত আগের মতোই রয়েছে ।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। ওই প্রাপ্তিস্বীকারের বাইরে তেমন কিছু বলার নেই।

এ দিন শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ সম্পর্কে সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেই দাবি বিধিসম্মতভাবে করেনি। তা ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী ওই দাবি গ্রাহ্য না হওয়ার আরও অনেক কারণ আছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওই প্রতিবেদন নিয়ে আজ কোনোরকম আলোকপাত করেননি।

ব্রিফিংয়ে সনাতন ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের দাবি খারিজ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়সোয়াল বলেন, আমরা আগেই বলেছি, ওই ঘটনায় যাদের ধরা হয়েছে তারা সুবিচার পাবেন। বিচার ন্যায্য হবে।

ব্রিফিংয়ে তুরস্কের এক সংস্থা থেকে বাংলাদেশের সামরিক ট্যাংক কেনার খবর নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। বাংলাদেশের ওই সিদ্ধান্ত ভারতের প্রতি কোনো বার্তা কি না জানতে চাওয়া হলে মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর ভারত সব সময় তীক্ষ্ণ নজর রাখে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

জয়সোয়াল এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের সময়ে দেওয়া বিবৃতির কথা নতুন করে মনে করিয়ে দেন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত এক গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও সব শ্রেণির মানুষকে নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ দেখতে চায়। সমর্থন করতে চায়।

জয়সোয়াল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহের কথাও পররাষ্ট্রসচিব জানিয়ে এসেছেন, যা পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানের ওপর ভিত্তিশীল এবং যা পারস্পরিক স্পর্শকাতরতা, উদ্বেগ ও স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়।

মুখপাত্র বিবৃতির কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, সম্পর্কের মূল লক্ষ্য দুই দেশের জনগণের কল্যাণ।

ব্রিফিংয়ে দুই দেশে ধরা পড়া জেলেদের মুক্তির বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। ৫ জানুয়ারি ৯৫ জন ভারতীয় ও ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে দুই দেশ থেকে মুক্তি পাবেন।

বাংলাদেশের পালাবদলের পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশিদের ধরপাকড় ও ফেরত পাঠানোর ঘটনা বেড়ে গেছে। 

সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র বলেন, অবৈধভাবে দেশে ঢোকা মানুষদের খুঁজে বের করা ও ফেরত পাঠানো নিরাপত্তারক্ষীদের কাজ। তারা সেই কাজ করছেন। 

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার পতন ঘটে। পরে তিনি জনরোষ থেকে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। তার দলের অনেক নেতাও দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

জুলাই গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুই শতাধিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। 

অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার হবে। ইতোমধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়