ফের ইসরায়েলি হামলা, রক্তাক্ত গাজা উপত্যকা
পবিত্র আল-আকসা মসজিদে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল। এর জবাবে হামাসের রকেট নিক্ষেপ করলে গাজায় বিমান হামলার চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামী সংগঠন হামাস রকেট নিক্ষেপ করে তার জবাব দেয়। ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৬ জন ফিলিস্তিনি। হামাসের রকেট হামলায় নিহত হয়েছেন পাঁচ জন ইসরায়েলি।
রকেট হামলায় ইসরায়েলে পাঁচ জন নিহত হওয়ার পর গত রাতব্যাপী গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ হামাসের ছোঁড়া বহু রকেট ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামী সংগঠন হামাসের নেতাদের উদ্দেশ করে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত গাজা থেকে ছোড়া ৮৫০টি রকেট ইসরায়েলে এসে পড়েছে। বেশকিছু রকেট সরাসরি ইসরায়েলের বিভিন্ন ভবন ও গাড়ির ওপর এসে পড়েছে। এতে পাঁচ জন ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলও গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে।
আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ১০ শিশু রয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫০ জন।
জেরুজালেম পোস্টকে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছ, তাদের চালানো একটি বিমান হামলায় হামাসের দুই জন জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুমাতুল বিদার দিনে আল-আকসা মসজিদে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ৩০০ জনের বেশি আহত হয় বলে জানায় ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট। ওই হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় হামাস। সেই রকেট হামলার পর সোমবার গভীর রাত থেকেই ইসরায়েল গাজার বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলার জবাব দিতে হামাসও সেখানে পাল্টা রকেট হামলা চালাচ্ছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবারও পরস্পরের এই হামলা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও হামলার আশঙ্কায় গাজার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের তাদের ঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ আরও কয়েকটি দেশ ও সংস্থা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ‘সব পক্ষের শান্ত থাকা দরকার।’
ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, “পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুসালেমে সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। অবিলম্বে তা বন্ধ হওয়া দরকার।”
সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো নীরবতা পালন করছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ