মঙ্গলের আকাশে হেলিকপ্টার
এক গ্রহে বসে আরেক গ্রহে উড়োযান উড়ানোর নজির সৃষ্টি হলো। মানব সভ্যতার সাফল্য-গাথায় যুক্ত হলো নতুন অলঙ্কার।
চলমান বৈশ্বিক মহামারির এই সময় এই সাফল্য হয়তো নীরবেই উদযাপিত হবে, তবে এ কথা বলা যায় যে, এই সাফল্য মানবজাতির সামনে এনে দেবে নতুন এক সম্ভাবনার জগত।
পৃথিবীর আকাশে উড়োযান উড়ানোর ১০০ বছরের বেশি সময় পর মানুষের হাত ধরে প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলের আকাশে প্রথম উড়ল হেলিকপ্টার।
মঙ্গলবার বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা লাল গ্রহের আকাশে সফলভাবে একটি ছোট হেলিকপ্টার উড়িয়েছে।
‘ইনজেনুইটি’ নামের এই ড্রোনটিকে মঙ্গলের আকাশে এক মিনিটের কম সময় উড়ানো হয়েছে। এক গ্রহে বসে অন্য গ্রহে উড়োযান উড়ানোর সাফল্যে ভীষণ উজ্জীবিত নাসা।
এই হেলিকপ্টার উড়ানোর তথ্যটি নীল গ্রহ পৃথিবীতে এসেছে লাল গ্রহ মঙ্গলে থাকা একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। হেলিকপ্টারটির সংগৃহীত তথ্যও এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পৌঁছেছে পৃথিবীতে।
এই সাফল্যের পর আগামী দিনগুলোতে আরও রোমাঞ্চকর ফ্লাইট পরিচালনার প্রতিজ্ঞা করেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।
‘ইনজেনুইটি’ উড়োযানটিকে আরও কত ওপরে ও কত দূর পর্যন্ত উড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করছেন প্রকৌশলীরা।
এই উড়োযানটিকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পারসিভেরেন্স রোভারের পেটে করে। গত ফেব্রুয়ারিতে এই রোভারটি মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে (জেপিএল) ‘ইনজেনুইটি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিমি অং উচ্ছ্বসিত হয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, “আমরা এখন বলতে পারি যে মানবজাতি অন্য গ্রহে উড়োযান উড়িয়েছে।”
মঙ্গলে উড়োযান উড়ানোর ঘটনা ১৯০৩ সালে পৃথিবীতে রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের উড়োযান উড়ানোর ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। এরপর হাওয়াই জাহাজে চড়ে মানুষ ঘুরেছে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এমনকি, পারি দিয়েছে পৃথিবীর সীমানাও।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ