ফ্লয়েড হত্যা: হোয়াইট হাউসের কাছে প্রতিবাদে কাঁদুনে গ্যাস, রাবার বুলেট
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ হেফাজতে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদে অংশরতদের সরাতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ।
সোমবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনের সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সহিংস বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ করার হুমকি দেন।
এদিনই হোয়াইট হাউস সংলগ্ন লাফায়েটে পার্কে চলা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি ভেঙে দিতে অশ্বারোহী কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চড়াও হন। ন্যাশনাল গার্ডের সেনাপুলিশ, সিক্রেট সার্ভিস, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার পুলিশ ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পুলিশ প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে দেয়।
এরপর ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে হেঁটে নিকটবর্তী সেইন্ট জনস এপিস্কোপাল গির্জায় গিয়ে বাইবেল হাতে ছবি তুলেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
আগের রাতে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার গির্জাটি পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারসহ অন্য কর্মকর্তারাও ছিলেন।
রোজ গার্ডেনে করা মন্তব্যে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরগুলোতে টানা ছয়রাত ধরে চলা সহিংস বিক্ষোভ ও লুটপাট ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ বন্ধ করতে বলেন। অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনে রাজি না হলে তিনি নিজেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
“যদি কোনো শহর বা অঙ্গরাজ্য বাসিন্দাদের জানমালের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আমিই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মোতায়েন করে তাদের হয়ে দ্রুত সমাধান এনে দেবো,” বলেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নিউ ইয়র্কে ব্রুকলিনের সড়কগুলোতে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ‘বিচার এখনি’ স্লোগান দেন। তাদের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া গাড়ির মধ্যে অনেকগুলো থেকেই আন্দোলনের সমর্থনে হর্ন বাজানো হয়। পুলিশের কয়েকটি ভ্যানও এ প্রতিবাদকারীদের অনুসরণ করে।
লস এঞ্জেলসের মেয়র এরিক গারসেট্টির দেয়া কারফিউ অমান্য করে হলিউডেও কয়েকশ মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। প্রতিবাদকারীরা পুলিশের কাছাকাছি এসে হাঁটু গেড়ে বসে দুই হাত উপরে তুলে ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ফ্লয়েডের পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে নিহত ৪৬ বছর বয়সী আফ্রিকান-আমেরিকানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে ফ্লয়েডকে জোর করে মাটিতে চেপে ধরার কারণেই তার দম বন্ধ হয়ে পড়ে বলে জানানো হয়েছে।
ফ্লয়েডের মৃত্যুর পেছনে তিন পুলিশ সদস্যের দায় আছে বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পরে হেনেপিন কাউন্টির মেডিকেল এক্সামিনারের বিস্তৃত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েড দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানানো হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি