৫০ বছর পর গুজরাটে দেখা গেলো ঢোল কুকুর
ভারতের গুজরাটের ভানসদা ন্যাশনাল পার্কে আগে থেকেই লাগানো হয়েছিল দুটি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরাতেই ধরা দেয় জংলি ‘ঢোল’ কুকুর। বাঘের মতোই হিংস্র। শক্তিশালী বাঘকেও মেরে ফেলতে পারে এই কুকুর। ১৯৭০ সালের আগে সরকার নাকি এই কুকুরকে মারতে পারলে দুটাকা করে পুরস্কার দিত। কারণ এই কুকুরের আক্রমণে সেই সময় গুজরাটের বহু এলাকায় মানুষ মারা যেত। এছাড়া এই কুকুর যে অঞ্চলে থাকত সেখান দিয়ে রাস্তা হয়। ফলে বহু কুকুর দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যায়। এসব কারণেই এই কুকুর এখন লুপ্তপ্রায় প্রজাতির অন্তর্গত। আর তাই দীর্ঘ ৫০ বছর পর এই হিংস্র ঢোল কুকুরের সন্ধান মিলেছে গুজরাটে।
এশিয়াটিক ওয়াইল্ড ডগ নামে পরিচিত এই কুকুর। আকারে জার্মান শেফার্ডের থেকে ছোট। কিন্তু হিংস্র ও ক্ষীপ্র। দল বেঁধে আক্রমণ করে এই প্রজাতির কুকুর। ফলে তাদের সমঝে চলে চিতাবাঘও। নিজেদের ওজনের দশ কেজি বেশি ওজনদার প্রাণীকেও অনায়াসে মেরে ফেলতে পারে ঢোল কুকুর। প্রথমেই শিকারের চোখে আক্রমণ করে জংলি ঢোল। এর পর শিকারকে শেষ করে দেয়। বহু বছর এই কুকুরের দেখা পাননি বন দফতরের কর্মীরা। ফলে এই কুকুর কী খায়, কেমনভাবে জীবনযাপন করে তা নিয়ে এখনও সবটুকু জানেন না তারা। প্রথমে একটি বিরল প্রজাতির কুকুর দেখে সন্দেহ হওয়ায় ভানসদা ন্যাশনাল পার্কের সানহাদি রেঞ্জ এলাকায় দুটি ক্যামেরা লাগানো হয়। এর পর দুটি কুকুরকে একসঙ্গে দেখা যায়।
২০ ফেব্রুয়ারি এই প্রজাতির কুকুরের প্রথম সন্ধান পান বনকর্মীরা। এর পরই ক্যামেরা লাগানো হয়। গভীর অরণ্য, মানুষের যাতায়াত কম যেখানে সেসব এলাকাতেই থাকে ঢোল কুকুর। সাধারণত বাঘের মতোই শিকার ধরে এই প্রজাতির কুকুর। বন দফতর গোটা এলাকায় আরও কয়েকটি ক্যামেরা লাগানোর বন্দোবস্ত করেছে, মোট কটি ঢোল কুকুর সেখানে রয়েছে তা দেখার জন্য। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ