লজ্জা নেই, তাই অভিনব প্রতিবাদ!
ঢাকা: মলমূত্র ত্যাগ মানুষের একটি গোপন কর্মকান্ড। আর এজন্য শৌচাগার ব্যবহার না করায় মলত্যাগকারীদের নিন্দা জানিয়েছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় একটি জেলার কর্তৃপক্ষ। মানুষের এ লজ্জাহীনতার জন্য প্রতিবাদ হিসেবে তারা অভিনব এক পরিকল্পনা করে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় ওয়ালস অব শেইম বা লজ্জা জানাবার একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মানববন্ধনে যারা অংশগ্রহণ করে তাদের সবার হাতে ছিল বেশ কিছু ছবি ও প্ল্যাকার্ড। এতে খোলা স্থানে মলত্যাগকারী ব্যক্তিদের ছবি ছিল। এ ছবি রাখার অর্থ, ওই ব্যক্তিরা যাতে লজ্জা পায়। আর লজ্জা পেয়ে এ কাজটি আবারো না করে।
জানা গেছে, এব্যাপারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে গ্রামবাসীদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে। এ কমিটির কাজ হবে খোলা স্থানে মলত্যাগকারীদের ওপর নজর রাখা। গণমাধ্যমকে সরকারের স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, লজ্জাহীনতার এ কাজটিতে সামাজিক একটি অপরাধ হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে।
পিবি সালিম গণমাধ্যমকে জানান, যেখানে সেখানে খোলা স্থানে মলত্যাগের ব্যাপারে মলত্যাগকারীদের মধ্যে লজ্জাবোধ তৈরি করতেই এ পদক্ষেপ নেয় হয়েছে। তবে হঠাৎ করেই তাদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে না। এজন্য সময়ের দরকার।
তিনি আরো বলেন, এসব ব্যক্তিদের সরকারি কিছু সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হবে। অভ্যাস বদলাতে পারলে আবার তাদের ওইসব সুবিধা ফেরত দেয়া হবে।
তিনি জানান, ২০১১ সালের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, ভারতের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যারই কোনো শৌচাগার নেই। ব্যাপারটা আরো ভেঙে বললে বলা যা, ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে। এক কৃষক জানান, এভাবে মলমূত্র ত্যাগে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ে তাদেরকে জানানো হলেও অভ্যাসবশত তারা খোলা জায়গাতেই কাজটি সেরে ফেলে। সারাজীবন প্রতিবেশীদের কাউকেই তিনি শৌচাগার ব্যবহার করতে দেখেননি। সূত্র : বিবিসি বাংলা
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম