একসঙ্গে গো-মাংস খেয়ে হিন্দু-মুসলিমদের প্রতিবাদ
মহারাষ্ট্রে গরুর মাংস (বিফ) খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে অভিনব এক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে কেরালায়। এতে মুসলমানদের সঙ্গে পাশাপাশি বসে গরুর মাংস খেয়েছেন হিন্দুরাও। কর্মসূচি উপলক্ষ্যে উন্মুক্ত স্থানে বিশাল ডেগচিতে পাকানো হয় গরুর মাংস।
কেরালায় বিফ বলতে গরু আর মোষ দুই প্রাণীর মাংসকেই বোঝায়। ভারতের এই রাজ্যটিতে গরু খাওয়ার ব্যাপারে কোনও ধর্মীয় বিধিনিষেধও নেই। কেরালাতে এমন হিন্দুর সংখ্যা অসংখ্য যারা নিয়মিত বিফ খেয়ে থাকেন এবং এই পদটি তাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অন্যতম আমিষ উপাদান।
এদিকে, বুধবারের ওই গোমাংস ভক্ষণ অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে কেরালা সিপিএম’র ইয়থ উইং নেতা অজিত পি বলেন, “আমি একজন হিন্দু। আমিও গো-মাংস খাই। আমার নিজের পছন্দনীয় খাবার খাওয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। একারণেই আমি এখানে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।”
অজিত তার থালার খাবার বন্ধু মুহম্মদের সঙ্গে ভাগ করে খাচ্ছিলেন। এ প্রসঙ্গে মুহম্মদ বলেন, “গরু খাওয়ায় আমাদের দুজনের’ই কোনো সমস্যা নাই। এটাই কেরালার সংস্কৃতি। আমার কিছু খেতে মন চাইলে তা থেকে কে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে?”
এসময় বিফ কারি খাওয়ারত সিপিএম রাজ্যসভা সদস্য পি শ্রীরামকৃষ্ণ বলেন, “আমি বিফ খাবো এবং কেরালার অনেক মানুষ তা খাবে। এখানে এ ব্যাপারে কিছু বদলাবে না।”
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার গো-মাংস বিক্রি ও খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেখানে কেউ গরুর গোশত বিক্রি বা খাওয়ার সময় ধরা পড়লে তার পাঁচ বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সরকারের এ ঘোষণার পর মহারাষ্ট্রের হাজার হাজার মাংস ব্যবসায়ীর আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। মহারাষ্ট্রে গো-মাংস নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদ হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় উঠছে। বলিউড নায়িকা আনুশকা শর্মাসহ অনেক তারকাও এতে সুর মিলিয়েছেন। সূত্র: নবভারত টাইমস
নিউজবাংলাদেশ.কম/একে
নিউজবাংলাদেশ.কম