‘আগে তথ্যচিত্রটি দেখুন, এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন’
ঢাকা: দিল্লি গণধর্ষণ ঘটনার ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র ইন্ডিয়াজ ডটার প্রকৃত ঘটনার জাল-ঘটনা নিয়ে নির্মিত। এ তথ্যচিত্রে মূল ঘটনা থেকে অনেক দূরে সরে যাওয়া হয়েছে। এ মন্তব্য করেছেন নির্ভয়ার বন্ধু অবনীন্দ্র পান্ডে, যাকে পিটিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়েছিল।
একটু পেছনে যাওয়া যাক। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এ রাতেই ঘটে যায় নির্ভয়া ধর্ষণের মতো অভিশপ্ত সেই ঘটনা। আর এ ঘটনার একমাত্র সাক্ষী তার বন্ধু অবনীন্দ্র পান্ডে।
এ তথ্যচিত্র নির্মাতা, বিবিসির অন্যতম চিত্র-পরিচালিকা লেসলি উডউইন গণমাধ্যমকে জানান, ১৬ ডিসেম্বর রাতে ঠিক কী ঘটেছিল তা এই তথ্যচিত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে ইন্ডিয়াজ ডটার নিষিদ্ধ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তিনি আবেদন করেছিলেন, আগে তথ্যচিত্রটি দেখুন। এরপর না হয় সিদ্ধান্ত নেবেন।
কারণ, লেসলির দাবি, তার এ ছবি ভারতের মঙ্গল চায়, কোনো ভাবেই ক্ষতি চায় না। কিন্তু ভারত সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে নির্ভয়ার বন্ধু অবনীন্দ্র পান্ডের দাবি অন্যরকম।
তিনি জানান, এ তথ্যচিত্রে সংবেদনহীনভাবে গোটা বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লেসলি উডউইন। এখানে সাক্ষাৎকার নেয়া হয় অন্যতম ধর্ষণকারী বাসচালক মুকেশ সিংয়ের।
গণমাধ্যমকে তিনি জানান, বাধা দেয়া ভুল হয়েছিল নির্ভয়ার। তার উচিত ছিল ধর্ষণে সহযোগিতা করা।
তার এ মন্তব্য প্রকাশের পরপরই আলোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। এরই প্রতিক্রিয়ায় এ তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায় ভারত সরকার।
অবনী জানান, এ তথ্যচিত্রে নির্যাতিতার কোনো বক্তব্য নেই। ওই রাতে ঠিক কি ঘটেছিল তা একমাত্র আমিই জানি। আর জানত নির্ভয়া। আসল ঘটনায় এখানে লুকানো হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, সত্য থেকে অনেক দূরে এ তথ্যচিত্র। এখানে সত্যেন্দ্র নামে যে গৃহশিক্ষককে দেখানো হয়েছে তিনি কোনো দিনই তার নাম শোনেনি। এরচেয়েও বড় কথা, ওই শিক্ষক কী করে জানলেন যে তিনি ওই রাতে কোন সিনেমা দেখতে চেয়েছিলেন?
সত্যেন্দ্র নামের ওই শিক্ষক তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অবনীন্দ্র অ্যাকশন মুভি দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু নির্ভয়া দেখতে চেয়েছিল লাইফ অব পাই।
নিউজবাংলদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম