নতুন শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন
ঢাকা : মায়ানমারে সম্প্রতি শিক্ষাসংক্রান্ত একটি আইন পাশ হয়েছে। আর এ নিয়ে দেশটির ছাত্র আন্দোলন ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে। এ আন্দোলন দমাতে ছাত্রদের ওপর চড়াও হয়েছে সরকারি আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী। চলছে গণগ্রেফতার।
জানা গেছে, গত বছর সেপ্টেম্বরে একটি শিক্ষাবিল পাস করা হলে এ আন্দোলনের সূচনা হয়। এ আইন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে মন্ত্রিপরিষদের বড় একটি অংশের হাতে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা খর্ব হবে।
আরো জানা গেছে, এ অবস্থা একাডেমিক সিলেবাসসহ খরচসংক্রান্ত নীতিমালায় প্রভাব ফেলতে পারে। ছাত্ররা চাচ্ছে শিক্ষায়তনের পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন। উল্লেখ্য, দীর্ঘ সামরিক শাসনের অবসানের পর চার বছর আগে থেইন সেইনের প্রশাসন সরকার গঠন করে।
এখন বলা হচ্ছে, সামরিক স্বেচ্ছাচারিতার চর্চা এখনো প্রশাসনিক কর্মকাঠামো থেকে দূর হয়নি। নতুন কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে এখন আর জনমত যাচাই করা হয় না বলে মন্তব্য আন্দোলনকারী ছাত্রদের।
এ আন্দোলন সারাদেশে চললেও তা সবচেয়ে বেশি জোরালো রূপ নিচ্ছে লেতপাদান অঞ্চলে। এ অঞ্চলটি রাজধানী রেঙ্গুন থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ধরপাকড় বেশ আগে থেকেই চালু থাকলেও শুক্রবার এক ছাত্রী ও চার ছাত্রকে আটক করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ ছাত্রদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে থাকে। দলবিচ্ছিন্নদের ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুক্রবার আটক পাঁচ শিক্ষার্থীকে এখনো মুক্তি দেয়নি পুলিশ। ছাত্ররা তাদের সতির্থদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। চলছে অবস্থান কর্মসূচি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম