জোটবদ্ধ সিপিএম-তৃণমূল অস্বস্তিতে মোদী সরকার
ঢাকা: ভারতে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় সংশোধনী প্রস্তাব আজ বুধবার রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নিলেন বিরোধীরা। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদ প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়া যে কোনও শাসক দলের পক্ষেই চূড়ান্ত অস্বস্তির। কারণ এর অর্থ, রাষ্ট্রপতির মর্যাদা রক্ষা করতে পারল না সরকার। ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে এটি এক বিরল দৃষ্টান্ত।
ঘটেছে আরও একটি অঘটন। এবিষয়ে রাজ্যসভায় সিপিএমের আনা প্রস্তাবের সমর্থনে দাঁড়ানোর জন্য তৃণমূলকে নির্দেশ দিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! দলের নির্দেশ মেনে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে অংশ নিলেন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়ও। কংগ্রেস, সপা, বসপা, জেডিইউ, ডিএমকে এমনকী বিজু জনতার মতো দলও আজ একজোট হয়ে ১১৮-৫৭ ভোটে হারিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে।
সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন রীতি অনুযায়ী যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি। সরকার সেই বক্তৃতার বয়ান লিখে দেয় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন করে। মূলত সরকারের সাফল্য, নীতি ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচির দিকনির্দেশ থাকে ওই বক্তৃতায়। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার পর তা নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে ধন্যবাদ প্রস্তাবে আলোচনা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে লোকসভায় ওই প্রস্তাব গত শুক্রবারই পাশ করিয়ে নিয়েছিল সরকার। সেখানে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের সংশোধনী প্রস্তাব ধোপে টেকেনি।
তবে বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, রাজ্যসভায় সরকার যে সংখ্যালঘু, এ কথা সত্যি। ফলে এই পরিস্থিতি যে হতে পারে, সে আশঙ্কা ছিলই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাজ্যসভায় যে কথা বলেছেন, সেটাই আসলে দেশের বাস্তব রাজনৈতিক ছবি। রাজ্যসভায় বিভিন্ন বিরোধী দলের যে সাংসদরা এখনও রয়েছেন, তাঁদের নিজেদের রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। লোকসভা ভোটে সেখানে বিজেপি জিতেছে। আর এই নেতারা রাজ্যসভার সদস্য থাকার বদৌলতে এখনও কাগুজে বাঘ হয়ে রয়েছেন! বিজেপি এবং সরকারের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যসভায় পাশ হওয়া সংশোধনী প্রস্তাব আর লোকসভায় এনে ভোটাভুটি করাতে হবে না। কারণ, এটা কোনো বিল নয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম