News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৮ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৬:৪৮, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সম্ভাব্য চুক্তির রূপরেখায় সম্মত হতে রুহানির আহবান

সম্ভাব্য চুক্তির রূপরেখায় সম্মত হতে রুহানির আহবান

নির্ধারিত সময়ের দ্বারপ্রান্তে এসে ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির রূপরেখায় সম্মত হতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এ নিয়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও চীনের নেতাদের সঙ্গে। খবর এএফপির।

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার উদ্দেশে তেহরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন ও জার্মানি এই চুক্তি করতে চাইছে। ৩১ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক পরিকাঠামো স্থির হলে তার ভিত্তিতে জুনের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তিটি হবে।

প্রেসিডেন্ট ওবামাকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিঠি দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে চিঠিতে রুহানি কী বলেছেন তা জানা যায়নি।

এছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে চলমান আলোচনার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে চুক্তির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রুহানি।

ডেভিড ক্যামেরনকে রুহানি বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বার্থেই আমরা কাজ করছি। আমাদের এ অসাধারণ সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত হবে না।”

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, রুহানির সঙ্গে আলাপকালে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ‘শান্তিপূর্ণ’ (বেসামরিক) পরমাণু শক্তি ব্যবহারে ইরানের বৈধ অধিকারের ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি স্থায়ী, বলিষ্ঠ ও প্রমাণসাপেক্ষ সমঝোতার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে এক চুক্তির লক্ষ্যে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই একটি রাজনৈতিক পরিকাঠামো চূড়ান্ত করতে হবে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তিকে। এ জন্য চলতি মাসের শুরু থেকে সুইজারল্যান্ডসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের মধ্যে আলোচনা চলছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই এ আলোচনায় রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে সম্ভাব্য চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ইরানের ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের একটি প্রস্তাব বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে পাস করেছে মার্কিন সিনেট। ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হওয়ার পর তেহরান কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে এ অবরোধ আরোপ করা হবে। তবে ঐচ্ছিক এ প্রস্তাবটি মানতে বাধ্য নয় সরকার। ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের লক্ষ্যেই প্রতীকী এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন রিপাবলিকান একজন সিনেটর।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে/এজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়