চলে গেলেন নোবেল জয়ী কবি ট্রান্সট্রোমার
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী খ্যাতিমান সুইডিশ কবি টোমাস ট্রান্সট্রোমার (৮৩) আর নেই। বৃহস্পতিবার স্টকহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সুইডিশ প্রকাশনা সংস্থা আলবার্ট বনিয়ার্স, নোবেল ফাউন্ডেশন, সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রান্সট্রোমারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপির।
প্রকৃতি, ইতিহাস আর মৃত্যুকে ধারণ করে ট্রান্সট্রোমারের কবিতা ছিল মরমী চেতনায় চিত্রকল্পে সমৃদ্ধ। বিশ শতকের অন্যতম প্রধান সুইডিশ কবি ২০১১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তার ডান হাতা অবশ হয়ে যায়। স্পষ্টভাবে কথাও বলতে পারতেন না তিনি। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ট্রান্সট্রোমারকে দমাতে পারেনি।
নোবেল ফাউন্ডেশন এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ট্রান্সট্রোমার। সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও টুইটারে লিখেছে, ‘একটি দুঃসংবাদ। সুইডিশ কবি ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী টোমাস ট্রান্সট্রোমার আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।’ ট্রান্সট্রোমারের বইয়ের প্রকাশনা সংস্থা আলবার্ট বনিয়ার্সও তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।
প্রকৃতিচর্চার মাধ্যমে মানুষেরও আত্মপরিচয় আর এর আধ্যাত্মিক মাত্রার সন্ধানলাভ করা সম্ভব বলে মনে করতেন ট্রান্সট্রোমার। অনেকে তার কবিতাকে বর্ণনা করেছেন ‘ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থনা’ হিসেবে।
১৫ এপ্রিল ১৯৩১ সালে স্টকহোমে জন্ম এই কবির। ট্রান্সট্রোমারের বাবা ছোটবেলায় তার মাকে ছেড়ে যাওয়ার পর মায়ের স্নেহেই বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৯৫৬ সালে স্নাতক শেষে মনোবিজ্ঞানকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি।
ট্রান্সট্রোমারের সাহিত্যকীর্তির মধ্যে অন্যতম হলো তার কাব্যগ্রন্থ ‘উইন্ডোজ অ্যান্ড স্টোনস’। মার্কিন কবি রবার্ট ব্লাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব ইংরেজিভাষী তথা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ট্রান্সট্রোমারের খ্যাতির পেছনে বেশি অবদান রেখেছে। রবার্ট ব্লাই তার অনেক বই ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। বাংলাসহ প্রায় ৬০টি ভাষায় তার কবিতা অনূদিত হয়েছে।
২০০৪ সালে প্রকাশিত হয় তার কবিতার সংকলন ‘দ্য গ্রেট এনিগমা’। ২০১১ সালে নোবেল কমিটি তাদের ঘোষণায় বলেছিল, সুইডিশ কবি টোমাস ট্রান্সট্রোমার তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন মনোজগতের পরাবাস্তবতা। তার সাবলীল বাকপ্রতিমায় বাস্তবের এক নতুন দরজা খুলে দিয়েছেন তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম