জার্মান পাইলট ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ ছিলেন
দেড়শ যাত্রী নিয়ে ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালায় বিধ্বস্ত হওয়া জার্মানউইংসের বিমানের কো-পাইলট আন্ড্রেয়াস লুবিৎস মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে ধারণা করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
আর এ অসুস্থতার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন রেখেছিলেন তিনি।
বিমানের একটি ব্ল্যাক বক্সের তথ্য থেকে ধারণা করা হয়, কো-পাইলট লুবিৎস নিজেই বিমানটি পর্বতে আছড়ে ফেলেন।
শুক্রবার তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় জার্মান পুলিশ। সেখান থেকে একটি কম্পিউটারসহ কিছু জিনিসপত্র জব্দ করে তারা। এর মধ্যে কিছু কাগজপত্র পাওয়া যায় - যা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। এগুলোর তারিখ সাম্প্রতিক, এমনকি বিমান বিধ্বস্ত হবার দিনের তারিখও রয়েছে। কৌঁসুলিরা বলছেন, ডুসেলডর্ফে পাইলটের ফ্ল্যাটে পাওয়া এই ছেঁড়া ‘সিক নোটে’ দুর্ঘটনার দিন অসুস্থতার জন্য কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টির উল্লেখ ছিল। এতে ধারণা করা যায় যে তিনি অসুস্থতার কথা গোপন করেছিলেন।
জার্মান কৌঁসুলিরা বলছেন, তারা লুবিৎসের চিকিৎসা সম্পর্কিত এমন কিছু কাগজপত্র পেয়েছেন, যাতে বোঝা যায় যে তিনি অসুখে ভুগছিলেন এবং চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তারা ধারনা করছেন, লুবিৎস বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন এবং তার চিকিৎসা নেয়ার দরকার দেখা দিয়েছিল।
কৌঁসুলিরা আরও বলেছেন, লুবিৎসের কোনো আত্মহত্যার চিঠি তারা পাননি এবং তিনি যে স্বেচ্ছায় বিমানটিকে মাটিতে আছড়ে ফেলে ধ্বংস করেছেন, এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় উদ্দেশ্য থাকার প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে বিমানচালনার এক প্রশিক্ষণের পর লুবিৎসের গুরুতর বিষণ্ণতাজনিত রোগ দেখা দেয় এবং তিনি দেড় বছর চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
ফ্লাইট রেকর্ডারে পাওয়া তথ্য থেকে মনে হচ্ছে, বার্সেলোনা থেকে ডুসেলডর্ফগামী বিমানটির প্রধান পাইলট একবার ককপিট থেকে বেরিয়ে যাবার পরই মি. লুবিৎস ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন এবং বিমানটি দ্রুতগতিতে নিচে মামিয়ে এনে পর্বতের ওপর আছড়ে ফেলেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম