মৃত্যু আর ধ্বংসের ব্যবসায় শীর্ষে যারা
অস্ত্র মানেই তো মৃত্যু আর ধ্বংস। কিন্তু পৃথিবীতে এই মৃত্যু আর ধ্বংসযজ্ঞ বাড়াতেই কিছু দেশ অস্ত্র উৎপাদন করে, ব্যবসা করে। আর নিরাপত্তার ছুতোয় সেই অস্ত্র কেনে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ। ফলে ব্যবসাটা জমজমাট। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এখানে কয়েকটি দেশের অস্ত্র রপ্তানির সংক্ষিপ্ত তথ্য দেয়া হলো।
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র রপ্তানি শতকরা ২৩ ভাগ বেড়েছে। তাদের রপ্তানির জন্য তৈরি করা অস্ত্রের শতকরা ৪৩ ভাগ যায় এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে যায় ৩২ শতাংশ। বিশ্বের মোট ৯৪টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র কেনে। যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার গানশিপ, ট্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র এবং রকেট বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়া
রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনে ৫৬টি দেশ। বিশ্ব অস্ত্র বাজারের শতকরা ২৭ ভাগ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। রাশিয়ার বেশির ভাগ অস্ত্রের ক্রেতা ভারত, চীন আর আলজেরিয়া। এই তিন দেশেই প্রায় ৬০ ভাগ অস্ত্র রপ্তানি করে রাশিয়া। রুশ অস্ত্র এবং সমর সরঞ্জামের মধ্যে যুদ্ধবিমান, ট্যাংক, নিউক্লিয়ার সাবমেরিন এবং অ্যাসল্ট রাইফেলের চাহিদাই বেশি।
চীন
চীনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে পাকিস্তান (৪১ ভাগ), বাংলাদেশ (১৬ ভাগ) এবং মিয়ানমার (১২ ভাগ)। গত ১০ বছরে চীনের অস্ত্র রপ্তানি ১৪৩ ভাগ বেড়েছে।
জার্মানি
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া আর চীনের অস্ত্র রপ্তানি যখন বাড়ছে, তখন জার্মানির বিপরীত অবস্থা। গত ১০ বছরে দেশটির শতকরা ৪৩ ভাগ অস্ত্র রপ্তানি কমেছে। তারপরও অন্তত ৫৫টি দেশ অস্ত্র কেনে ইউরোপের এই দেশটি থেকে।
ফ্রান্স
জার্মানির মতো ফ্রান্সেরও অস্ত্র রপ্তানি কমেছে। গত ১০ বছরে শতকরা ২৭ ভাগ রপ্তানি কমেছে তাদের। ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় ক্রেতা মরক্কো, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ব্রিটেন
ব্রিটেনের অস্ত্র ব্যবসা বলতে গেলে সৌদি আরবের জন্যই টিকে আছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ব্রিটেনের মোট ৪১ ভাগ অস্ত্র কেনে।
স্পেন
বিশ্বমন্দার কারণে দেশে অর্থনীতির হাল এখন যেমনই হোক, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশগুলোর তালিকায় স্পেনও আছে। স্পেনের সবচেয়ে বড় ক্রেতা অস্ট্রেলিয়া।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম