News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:০৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল ফ্রান্স

নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল ফ্রান্স

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়রু। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সে কয়েকদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর অবশেষে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মধ্যপন্থি মিত্র ফ্রাঁসোয়া বায়রু। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ফ্রান্সে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। ফলে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র তিন মাসের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

পরের দিন জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে মাক্রোঁ নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন তিনি তা করেননি। 

এরপর মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দলের নেতাদের বৈঠকে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে তাকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়।

তবে সেই সময়সীমাও অতিক্রান্ত হলে আজ (শুক্রবার) নতুন প্রধানমন্ত্রীর নামের ঘোষণা আসতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। অবশেষে সেই খবর সত্যি করে ফ্রাঁসোয়া বায়রুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

মিশেল বার্নিয়েরের সরে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর ম্যাক্রোঁর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা এলো। 

মাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত মধ্যপন্থি জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ৭৩ বছর বয়সী বায়রু গত কয়েক দশক ধরে ফরাসি রাজনীতিতে তিনি সুপরিচিত নাম। তিনি দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একজন মেয়র এবং মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (মোডেম) দলের শীর্ষ নেতা। ২০০৭ সালে তিনি নিজেই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।

জাতীয় পরিষদে কোনো একক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বায়রুর কাজ হবে একটি নতুন সরকার গঠন করা। নতুন মন্ত্রী নির্বাচনে আগামী দিনগুলোতে তিনি বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে এই কাজ বায়রুর জন্য মোটেও সহজ হবে না। কারণ, ফ্রান্সে সর্বশেষ সংসদীয় নির্বাচনে কোনো দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় একটি ঝুলন্ত সংসদ গঠিত হয়। সেখানে মাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। ফলে সরকার গঠনে বাম ও ডান উভয় পক্ষের মধ্যপন্থি নেতাদের ওপর তার নির্ভর করতে হবে। এমনকি, রক্ষণশীল নেতাদের কেউ কেউ নতুন সরকারের অংশ হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে গত সপ্তাহে ম্যাক্রোঁ অঙ্গীকার করেছেন, ২০২৭ সালে তার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। যদিও বিরোধীদের কেউ কেউ তারও পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়