ইসরায়েলি হামলায় মানবিক সংকটে সিরিয়া: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস। ফাইল ছবি
স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ক্রমাগত ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং সেখানকার মানবিক সংকটকে ‘সার্বভৌমত্বের ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ব্যাপক লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তার মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সাম্প্রতিক ব্যাপক লঙ্ঘনে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, মহাসচিব সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে শত শত ইসরায়েলি বিমান হামলায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশজুড়ে সব ফ্রন্টে সহিংসতা প্রশমনের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এইচটিএস (তাহরির আল-শাম) সশস্ত্র গোষ্ঠীর কর্তৃপক্ষ দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী গোলান সীমান্ত অঞ্চলের শহর এবং সিরিয়ার একটি পরিত্যক্ত সামরিক পোস্ট দখল করে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
পার্বত্য গোলানে ইসরায়েলি ও সিরিয়ার বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে এবং বিচ্ছিন্নতার ক্ষেত্রগুলো তদারকি করার জন্য ১৯৭৪ সালের মে মাসে নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক জাতিসংঘের ডিসএনগেজমেন্ট অবজারভার ফোর্স-ইউএনডিওএফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ইসরায়েলি বাহিনী কেবল বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের কিছু অংশেই চলে যায়নি – তারা বলছে বিমান অভিযানও চালিয়েছে। পাশাপাশি সিরিয়ার উপকূলে নৌবাহিনীর জাহাজগুলোতে বোমা বর্ষণ করেছে।
আসাদের পতনের পর এখন পর্যন্ত ৪০০টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের প্রতিবাদ সত্ত্বেও তারা বাফারজোনে আগ্রাসন চালিয়েছে। ১৯৭৪ সালের পর থেকে এই অঞ্চলটিই দুই দেশকে আলাদা করে রেখেছিল।
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলে হামলা করলে গাজা যুদ্ধের সূচনা হয় যা লেবাননেও ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রভাব পড়ে আসাদের সহযোগী হিজবুল্লাহর ওপর। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন।
বছরব্যাপী লড়াইয়ের পর গত ২৭শে নভেম্বর হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সেদিনই বিস্ময়করভাবে হামলা করে দ্রুত আলেপ্পো দখল করে নেয় হায়াত তাহরির আল-শাম বা এইচটিএস এর নেতৃত্বে সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠী।
এর ১২ দিনের মাথায় ক্ষমতা ও দেশ ছাড়েন বাশার আল-আসাদ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি