News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

জাপানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল ক্ষমতাসীন দল এলডিপি

জাপানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল ক্ষমতাসীন দল এলডিপি

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। ছবি: দ্য জাপান নিউজ:

জাপানের সাধারণ নির্বাচনে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট। রবিবার (২৭ অক্টোবর) নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে বলে বুথফেরত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল। একের পর এক কেলেঙ্কারিতে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।

পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সময় প্রধান বিরোধী দলের প্রতি ৬.৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন ছিল। তবে এবার তারা আগের তুলনায় বেশি আসন পেতে পারে। সংবাদমাধ্যম এনএইচকে বুথফেরত জরিপে জানিয়েছিল, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ১৫৩ থেকে ২১৯ আসন পেতে পারে এলডিপি। অন্যদিকে সিডিপি পেতে পারে ১২৮ থেকে ১৯১টি আসন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন এলডিপি এবং তাদের মিত্র দল কোমেইতো মোট ২০৮টি আসন পেয়েছে, যেখানে বিরোধী দলগুলো পেয়েছে ২৩৫টি আসন।

এলডিপি একা পেয়েছে ১৯১টি আসন। দেশটিতে ক্ষমতায় যেতে একটি দল বা জোটের জন্য কমপক্ষে ২৩৩টি আসন প্রয়োজন হয়। এ পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (সিডিপি) পেয়েছে ১৪৩টি আসন। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বা ডায়েটের ২২টি আসনের ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। 

শিগেরু ইশিবা এলডিপির নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার তিনদিন পরে এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই এই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় ইশিবা এনএইচকে-কে বলেন, ‘ভোটাররা কঠোর রায় দিয়েছে এবং আমাদের খুব বিনয়ের সঙ্গে এই রায় মেনে নিতে হবে।’

তারপরেও এলডিপি বিরোধী দলগুলোর জন্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে। বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনই শাসনের প্রশ্নে তারা যে ক্ষমতাসীনদের বিকল্প, সেটাও ভোটারদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে।

গত কয়েকটি বছর টালমাটাল অবস্থায় কেটেছে এলডিপির সময়।  এ সময়টি ছিল কেলেঙ্কারীতে ঠাসা, ভোটারদের উদাসীনতা আর সমর্থনের রেকর্ড নিম্নমুখী প্রবণতা। এ বছরের শুরুতে ভোটারদের সমর্থনের পাল্লা রেকর্ড ২০ শতাংশে নেমে আসে। মূলত দলের তহবিল কেলেঙ্কারীর খবর ফাঁস হওয়ার পরপরই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

সংবাদ: বিবিসি, এএফপি

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়