ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে লন্ডনে ইসরায়েলি দূতাবাস ঘেরাও

ফিলিস্তিনের গাজা, জেরুজালেম ও পশ্চিমতীরে শিশু ও নারীসহ বেসামরিক লোকজনের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে লাখো বিক্ষোভকারী যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ইসরায়েলি দূতাবাস ঘেরাও করেছেন।

এ সময় তাদের হাতে ছিল ‘স্টপ বমবিং গাজা’ ও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ এ ধরনের লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। খবর আরব নিউজের।

প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিনও শনিবারের ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলি ওই বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ইহুদিবাদীদের এ মানবতাবিরোধী অপরাধ এখনই থামাতে হবে।”

এ জন্য যুক্তরাজ্যসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তারা।

এ সময় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ এসে ইসরায়েলি দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার করে এবং বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
 
বক্তারা এ সময় বলেন, “ধরুন আপনার সামনে ইসরায়েলিরা বোমা মেরে আপনার ভবনটি উড়িয়ে দিল, এর ভিতরে আছে আপনার সন্তান ও বাবা-মা, আপনার তখন কেমন লাগবে? ফিলিস্তিনে প্রতি মুহূর্তেই এ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে ইসরায়েল, আর আমরা সবাই নীরব দর্শক। এখনই এ নীরবতা ভাঙতে হবে। আসুন আমরা বর্বরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।”

পরে ওই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন লন্ডনে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জমলট। তিনি বলেন, “এখন সময়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন, সময় এসেছে একসঙ্গে বর্বরতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এ মহাদুর্দিনে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।”

বিক্ষোভ সমাবেশটি যৌথভাবে আয়োজন করে, ফ্রেন্স অব আল আকসা, প্যালেটাইনি ফোরাম অব ব্রিটেন, স্টপ দ্যা ওয়ার কোয়ালিশন, ক্যামপেইন ফর নিউক্লিয়ার ডিসআর্মামেন্ট ও মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রিটেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে থেকে গাজাসহ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নির্বিচার বোমা হামলায় ৩১ শিশুসহ দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের পাল্টা রকেট হামলায় ইসরায়েলে এক সেনা সদস্যসহ প্রাণ হারিয়েছেন আট জন।