পশ্চিমবঙ্গে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় মমতা
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪৮টি আসনের। তবে তৃণমূল ২১০টিরও বেশি আসন পেয়েছে।
রোববার (২ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২টি আসনের আট দফার নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। এরপর একে একে ঘোষণা করা হয় ফলাফল।
বিধানসভার মোট আসন ২৯৪টি হলেও নির্বাচনের মাঝে দুই প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই দুটি আসনের ভোট স্থগিত করা হয়। সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে করোনা সংক্রমিত হয়ে দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুই আসনে ভোট হবে ১৬ মে।
১০ বছর আগে বাম রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের শাসন কায়েম করেছিলেন মমতা। ২০১৬ সালেও সেই ধারায় ছেদ পড়েনি। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই রাজ্যে বিজেপির শক্তিশালী অবস্থান ধরা পড়ে। সেবার এ রাজ্যে ১৮টি আসন পায় নরেন্দ্র মোদীর দল।
এবারের বিধানসভা নির্বাচন ছিল বিজেপির জন্য বাংলা দখলের লড়াই; আর সেই চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে বেশ কয়েকটি জনসভা করেন করোনাভাইরাসের এই মহামারীর মধ্যে।
এদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন পায়ে চোট পেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। কয়েক দিন হাসপাতালে থেকে ভোটের প্রচারের পুরোটা সময় তিনি হুইলচেয়ারে ছুটে বেরিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের এ মাথা-ওমাথা।
মমতার ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধ নিয়ে মোদীর কথার চালাচালাতি নির্বাচনের আগেই উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। প্রবল মেরুকরণের এ নির্বাচন পরিণত হয় মূলত ‘মমতা বনাম মোদী’ যুদ্ধে।
পশ্চিমবাংলার এবারের ভোট নিয়ে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপশি সরব ছিলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বিজেপি বিরোধী পক্ষ যেমন সরব ছিলেন তেমনি মমতার বিপক্ষেও বিভিন্ন মাধ্যমে জোর প্রচারণা চালিয়েছে বিজেপি। পক্ষে-বিপক্ষে গান তৈরী করেও আক্রমণ শানিয়েছেন একে অপরের বিরুদ্ধে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯২টি আসনে। সাত কোটি ৩২ লাখ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৮১ শতাংশ।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে গেলে এ রাজ্যে পেতে হবে ১৪৮টি আসন। নির্বাচনের পর বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষায় তৃণমূলই এগিয়ে ছিল।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি