ভারতে রেকর্ড শনাক্ত ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও দুই হাজার ৮১২ জন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছেন এক লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন।
একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও তিন লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এটিই এখন এখন পর্যন্ত দেশটিতে ও বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। ভারতে মোট এক কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ১৬৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়তে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই লাখ ১৯ হাজার ২৭২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৪৩ লাখ চার হাজার ৩৮২ জন।
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কেরালা, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ, তামিল নাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ১৯১ জন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, অতীতের রেকর্ড ভেঙে গতকালও দেশটিতে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৬৯১ জনের করোনা শনাক্ত ও দুই হাজার ৭৬৭ জনের মৃত্যু হয় এবং গত পরশু তিন লাখ ৩২ হাজার ৭৩০ জনের করোনা শনাক্ত ও দুই হাজার ২৬৩ জনের মৃত্যু হয়। সোমবারও সেসব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হলো। গত ৭২ ঘণ্টায় দেশটিতে শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ করোনা রোগী।
দেশটিতে মোট শনাক্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ১৬৩ জনের মধ্যে বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন ২৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৫৮ জন।
গত ১৫ এপ্রিল থেকেই দেশটিতে দৈনিক দুই লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে সোমবার টানা তৃতীয় বারের মতো দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি।
ভারতে এখন পর্যন্ত ১৪ কোটির বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে দুই লাখ ৯৭ হাজার ৪৩০ জন শনাক্ত হয়। এরপর সোমবার বিশ্বের মধ্যে ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হলো।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে ১৪ লাখ দুই হাজার ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ কোটি ৯৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৭টি নমুনা।
পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৯ কোটির বেশি। সেখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে দুই লাখ ৭৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর বাংলাদেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬০ লাখের বেশি। এখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে ৩২ হাজার ১৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ভারতের অবস্থান দুই নম্বরে। ভারতের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পরে ব্রাজিল।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫২৪ জন এবং মারা গেছেন ৩১ লাখ ছয় হাজার ৪৩৫ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন আট কোটি ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৩২ জন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ