News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ২৪ এপ্রিল ২০২১

বাইডেনের ওপর করোনা টিকার মেধাস্বত্ত্ব ছাড়ের চাপ 

বাইডেনের ওপর করোনা টিকার মেধাস্বত্ত্ব ছাড়ের চাপ 

করোনাভাইরাসের মহামারী মোকাবেলায় দরিদ্র্য দেশগুলোতে দ্রুত ও সহজে টিকাদান কর্মসূচি চালাতে সাময়িকভাবে মেধাস্বত্ত্ব ছাড় দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে।

‘নৈতিকতার’ দিক বিবেচনায় শুক্রবার আইনপ্রণেতা ও অলাভজনক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বাইডেনের কাছে এমন একটি আবেদন করা হয়েছে, যাতে ২০ লাখ মানুষের স্বাক্ষর রয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একদল সেনেটর, প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সেখানকার প্রায় ১০০ সদস্য এবং ৬০ জন প্রাক্তন রাষ্ট্র প্রধান ও ১০০ জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একই আবেদন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে চিঠি দেন।

সেনেটর বার্নি স্যান্ডারস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিজের স্বার্থেই যত দ্রুত সম্ভব যত বেশি সংখ্যক মানুষের টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে, যাতে ভাইরাসের বিবর্তনের সুযোগ কমে যায়। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্রেও হয়তো আবারও কড়া লকডাউন আরোপের মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আস্থা ফেরাতে বাইডেনের আকাঙ্ক্ষার কথা মনে করিয়ে দিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এমন একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সংকটে, এই নৈতিকতার প্রশ্নে, যুক্তরাষ্ট্রকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।”

ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মেধাস্বত্ত্ব টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে ছাড় দেওয়ার একটি যুক্তরাষ্ট্র এবং হাতেগোনা কয়েকটি বড় রাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) উত্থাপন করা যাচ্ছে না।

বিশ্বের ১০০টি দেশের সমর্থনে তোলা একটি প্রস্তাবের নেতৃত্বে রয়েছে ভারত ও সাউথ আফ্রিকা। ৫ মে ডব্লিউটিওর বৈঠকের আগে এই প্রস্তাবের ‘বিরোধী’ অবস্থান বদলানোর জন্য ওয়াশিংটনকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা উপলব্ধি করছেন যে কিছু একটা করা দরকার, হতে পারে সেটা মেধাস্বত্ত্ব নীতিমালার প্রণোদনা বা অন্য কোনো কিছু।  

আরেকটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স আরও জানাচ্ছে, বাইডেন প্রশাসন ভারত এবং অন্যান্য নিম্ন আয়ের দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি খারাপ হতে দেখে উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র মহামারী মোকাবেলায় যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা ম্লান করে দিতে পারে বলে তারা শঙ্কায় আছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্স এবং ফাইজার ও বায়োএনটেক, মডার্না, এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো বড় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে।

প্রস্তাবটির সমালোকদের ভাষ্য হলো, মেধাস্বত্ত্ব প্রত্যাহার করা হলে বিশ্বজুড়ে টিকার সুরক্ষা সক্ষমতা কমে যেতে পারে। এরচেয়ে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়নের মতো অন্যান্য বিষয়গুলো আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়