ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৭, শতাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে একটি ভূমিকম্পের ঘটনায় অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে ও বেশ কয়েকটি শহরের শতাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে।
শনিবারের ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্পটি পূর্ব জাভা, অবকাশযাপন দ্বীপ বালিসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে অনুভূত হয়েছে বলে ইন্দোনেশীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, দুই জন গুরুতর ও দশজন সামান্য আহত হয়েছেন।
ভূমিকম্প কবলিত অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপিবির মুখপাত্র রাদিত্য জাতি।
রয়টার্স বলেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে কিনা তা পরিষ্কায় হয়নি, কেউ নিখোঁজ আছেন কিনা সে বিষয়েও সংস্থাটি কিছু জানায়নি।
ইন্দোনেশিয়ার মেটেরলজি, ক্লাইমেটোলজি ও জিওফিজিক্স সংস্থা বিএমকেজি জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি পরাঘাত হলেও সেখানে সুনামির ঝুঁকি নেই।
কয়েকটি প্রদেশের পার্লামেন্ট ভবনসহ একটি স্কুল, একটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বাতু শহরের একটি বিনোদন পার্কে বিশাল একটি গরিলার ভাস্কর্যের মাথা ভেঙে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষগুলো ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে বলে দেশটির দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে।
ইউরোপিয়ান-মেডিটেরিনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, পূর্ব জাভার দক্ষিণ উপকূল থেকে ভারত মহাসাগরের ৯১ কিলোমিটার ভেতরে ভূপৃষ্ঠের ৯৬ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মালাং শহরে লোকজন বিপণিবিতান থেকে দৌঁড়ে বের হয়ে আসছেন।
বালিতার শহরের হোটেল রিসেপশনিস্ট এদো আফিজাল ফোনে রয়টার্সকে বলেন, “আমি দুইবার ভূমিকম্প অনুভব করেছি, প্রথমবার দুই সেকেন্ড পর এটি থেমে যায়, কিন্তু এরপর আবার পাঁচ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়।”
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সেরোজা আঘাত হেনেছিল। তখন ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় পূর্ব নুসা তেনগারা প্রদেশের দ্বীপগুলোতে ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
তথাকথিত প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারের (প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা) ওপর গঠিত দ্বীপমালার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। জানুয়ারিতে সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬ দশমিক ২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পে শতাধিক লোক নিহত হয়েছিল।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি