তাইওয়ানে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫০, আহত ১৫৬

তাইওয়ানের একটি সুড়ঙ্গে ৪৯০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ব্যস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে, কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ১৫৬ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা সিএনএন অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানী তাইপে থেকে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের তাইটং শহরে যাচ্ছিল। ট্রেনটিতে ৪৯০ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক ও ঘরমুখী যাত্রী। তারা বার্ষিক ছুটি উপলক্ষে ভ্রমণ করছিলেন। পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন শহরে স্থানীয় সময় সকাল নয়টার দিকে ট্রেনটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
তাইওয়ানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ট্রেনটি যাত্রীতে একদম ভরা ছিল। এমনকি অনেক যাত্রী ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করছিলেন।
প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক নারী যাত্রী স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেন, দুর্ঘটনায় যাত্রীরা ছিটকে যান। একজন আরেকজনের ওপর গিয়ে পড়েন। সেই দৃশ্য ছিল ভয়াবহ।
নিহতদের অনেকের লাশ শনাক্তের অপেক্ষায় রয়েছে এবং আহতদের প্রায় ৬৯ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে জাপানের ২ জন নাগরিক আছেন।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে যে বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বলা হচ্ছে, সুড়ঙ্গে প্রবেশকালে আট বগি বিশিষ্ট ট্রেনটি সুড়ঙ্গের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় ট্রেনের চালকও নিহত হয়েছেন। ধারনা করা হচ্ছে দেয়ালে ধাক্কা খাওয়ার আগে ট্রেনটির সাথে কোনো ট্রাকের সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ফ্রান্সের নাগরিকও আছেন।
দুর্ঘটনার পর প্রায় ১০০ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটকা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে।
দুর্ঘটনার পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট তা ইং-ওয়েন একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, যারা আটকে আছেন, তাদের উদ্ধার করাই এখন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের কাজ।
তাইওয়ানে গত চার দশকের মধ্যে আজকের ট্রেন দুর্ঘটনাটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে তাইওয়ানে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছিলেন। আর ১৯৯১ সালের দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৩০ জন।