আম্পানে লণ্ডভণ্ড পশ্চিমবঙ্গ
আশঙ্কা যা ছিল, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। প্রায় ১৩৩ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা ঘণ্টা চারেকের তুমুল ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকা।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সেখানে ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে তবে আসল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা জানা যায়নি। বহু গ্রাম তলিয়ে গিয়েছে, শত শত গাছ উপড়ে গিয়েছে এবং ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমপান এতটা ভয়াবহ হবে ভাবিনি। গোটা শহর লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। তিনশোরও বেশি গাছ, কিছু বিদ্যুৎস্তম্ভ ও গোটা সাতেক বাড়িও ভেঙেছে।'
কন্ট্রোল রুমে সারারাত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আম্পানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০-১২ জনের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গাছ পড়ে দুর্ঘটনা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখনও সব খবর আসেনি। জেলাশাসকদের রিপোর্ট আসার পরই ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান জানা সম্ভব হবে।
রাজ্যের আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, সুন্দরবনসহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিমি বেগে ঝড় বয়ে গিয়েছে। আয়লার সময়ে উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। আর কলকাতায় আয়লার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। এদিন আম্পানের তাণ্ডবের সময়ে দমদমে ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার এবং কলকাতার আলিপুরে ১১৪ কিলোমিটার। রাত পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ২৪৪.২ মিলিমিটার।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেএইচ