টুইন টাওয়ার হামলা: এফবিআইয়ের ভুলে প্রতিবেদনে সৌদির নাম
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ হামলার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ভুলবশত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সৌদি আরবের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছে বলে দাবি করেছে মার্কিন গণমাধ্যম ইয়াহু নিউজ।
গণমাধ্যমটির একটি প্রতিবেদনে মঙ্গলবার উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর এফবিআই কর্মকর্তা জ্যাকব কে জ্যাভিটস হামলার ঘটনায় যে প্রতিবেদন দাখিল করেন, তাতে ওই নাশকতার জন্য সৌদি আরবের অর্থায়নের কথা উল্লেখ করা হয়। খবর ইয়াহু নিউজ ও আনাদোলুর।
প্রতিবেদনটিতে অর্থদাতা হিসেবে সৌদি কূটনীতিক মুসাদ আহমেদ আল-জাররাহর নাম উঠে আসে। এর পর থেকেই সৌদি-মার্কিন সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।
এতে বলা হয়, হামলায় ব্যবহৃত বিমান হাইজ্যাক করা দুই আল কায়েদা সদস্যকে টাকা দিয়েছেন ওই সৌদি কূটনীতিক।
কিন্তু ইয়াহুর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, টুইন টাওয়ার হামলার প্রতিবেদনে সৌদি কূটনীতিকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি ভুল করে এসেছে। আর ভুলটা হয়েছিল ৯/১১ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের করা মামলার কারণে। তারা মামলার আর্জিতে হামলায় সৌদি আরব জড়িত বলে উল্লেখ করায় প্রতিবেদনে এফবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তাও ভুল করে প্রতিবেদনে ওই কূটনীতিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।
এফবিআইয়ের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপপরিচালক জিল সেনবর্নের প্রতিবেদনে ভুল আছে বলে আদালত জানিয়েছেন। এর পর পাবলিক ডকেট থেকে জমা দেয়া ওই নথি এফবিআই ফেরত নিয়ে আসে বলেও ইয়াহুর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সৌদি কূটনীতিক মুসাদ আহমেদ আল-জাররাহ ওয়াশিংটনের সৌদি দূতাবাসে ১৯৯৯ থেকে ২০০০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলোতে অর্থায়নের কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
হামলার আগে ২০০০ সালে দুই হাইজ্যাকারকে যুক্তরাষ্ট্রে আনার সব খরচ আল-জাররাহ বহন করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলেও এর সপক্ষে আদালতে কোনো প্রমাণ দাঁড় করাতে পারেনি এফবিআই।
২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে ওই ভয়াবহ হামলায় ২ হাজার ৭৫৩ জন প্রাণ হারান। ওসামা বিন লাদেনের নির্দেশে আল কায়েদা ওই হামলা চালায় বলে দাবি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
টুইন টাওয়ারের দুই ভবনে হামলার পর তৃতীয় বিমান হামলা পেন্টাগনে এবং চতুর্থ হামলা হয় পেনসিলভানিয়ায়। পরের দুটি হামলাই ব্যর্থ হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএ/এনডি