News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১০ মে ২০২০
আপডেট: ০৪:১৮, ১৯ মে ২০২০

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার কথা স্বীকার করলো চীন

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার কথা স্বীকার করলো চীন

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের পরিচালক লি বিন বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি একটি বড় পরীক্ষা যা বেইজিং-এর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাকে প্রকাশ করেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চীনের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়ে নানা সমালোচনা তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম দেশটির শীর্ষ পর্যায় থেকে এমন মন্তব্য আসলো। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এরইমধ্যে উত্তর কোরিয়াকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। লি বিন জানিয়েছেন, চীন এখন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘চীনের শাসন ব্যবস্থার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ ছিল এই মহামারি। আর বড় ধরনের মহামারি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যকার দুর্বলতাকে এটি সামনে নিয়ে এসেছে।’

চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উহানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশটি দেরি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও তারা এর প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সতর্ক করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানও নাকচ করে দিয়েছে বেইজিং।

গত এপ্রিলে চীনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস সংকট নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তোলে ইউরোপীয় দেশগুলো। একজন চিকিৎসক যিনি কর্তৃপক্ষকে ভাইরাসটি সম্পর্কে ডিসেম্বরেই সতর্ক করতে চেয়েছিলেন তাকে ‘মিথ্যা তথ্য বানাতে’ নিষেধ করা হয়। পরে লি ওয়েনলিয়াং নামে ওই চিকিৎসক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে উহানের একটি হাসপাতালে মারা যান।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য মতে, চীনে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৪,৬৩৭ জন মারা গেছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ। পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩১৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে।

বিরল স্বীকারোক্তি

বিবিসির এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার এডিটর সেলিয়া হ্যাটন বলেন, ভুল করার বিষয়টি স্বীকার করাটা চীনের নেতাদের ক্ষেত্রে বেশ বিরল।

লি বিন বলেছেন, স্বাস্থ্য কমিশন এর পুরো ব্যবস্থাকে কেন্দ্রীয়করণ করে এবং বিশালাকার তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করবে।

ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে দেশে এবং বাইরে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে চীন। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কয়েকজন প্রাদেশিক এবং স্থানীয় কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কোনও নেতার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংবাদমাধ্যমের ওপর সেন্সরশিপ এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার আহ্বানের বিষয়েও কোন মন্তব্য করেনি বেইজিং।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং আন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্যের জন্য শি চিন পিংকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পরে দেশটিকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে চীন।

উত্তর কোরিয়া বলছে, তাদের দেশে এখনও পর্যন্ত কারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে দেশটির  এমন দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: বিবিসি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়