News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৩০ এপ্রিল ২০২০
আপডেট: ০৪:২২, ৩ মে ২০২০

আটকে পড়া শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়েছে ভারত

আটকে পড়া শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়েছে ভারত

লকডাউনের কারণে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া লাখ লাখ শ্রমিককে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে বলা হয়েছে, এসব শ্রমিক বর্তমানে যেখানে আছে সেখানে এবং নিজ বাড়িতে ফেরার পরও তাদের করোনাভাইরাসের লক্ষণ পরীক্ষা করতে হবে এবং ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এসব শ্রমিক নিজেদের ব্যবস্থাপনায় নয় বরং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনাতে বাড়ি ফিরতে পারবে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৪ মার্চ থেকে ভারতে লকডাউন কার্যকর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণার মাত্র চার ঘণ্টার মাথায় এই লকডাউন কার্যকর হলে বিভিন্ন রাজ্যে আটকা পড়ে লাখ লাখ শ্রমিক। আটকে পড়া শ্রমিকদের বেশিরভাগই অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে কর্মরত। বাড়ি নির্মাণ, খাবার রান্না, হোটেলে খাবার সরবরাহ, সেলুনে চুল কাটা, অটোমোবাইল সারাই করা, টয়লেট পরিষ্কার, সংবাদপত্র বিলিসহ নানা ধরণের কাজ করে থাকে তারা। ভারতে এ ধরনের প্রায় ১০ কোটি শ্রমিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে।

রাতারাতি ব্যবসা ও বাস-ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শ্রমিকই খাবারের সংকটে পড়ার শঙ্কায় পড়ে। অনেকেই টানা কয়েক দিন ধরে শত শত কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বাড়িতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। অনেকেই রাস্তাতেই মারা যায়। কয়েকটি রাজ্য সরকার এসব শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করলেও দ্রুত তা অপ্রতুল হয়ে পড়ে। বাকি হাজার হাজার শ্রমিককে হয় কোয়ারেন্টিন সেন্টার ও ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়। সম্প্রতি বাড়ি ফিরতে দেওয়ার দাবিতে গুজরাট রাজ্য ও মুম্বাই শহর ছাড়াও বেশ কিছু স্থানে বড় আকারের বিক্ষোভ করেছে অভিবাসী শ্রমিকেরা।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, মানুষের জীবন বাঁচাতেই লকডাউন আরোপ করা হয়। তবে সমালোচকেরা বলছেন, পরিকল্পনা ছাড়াই লকডাউন আরোপ করায় দরিদ্র ও দুর্বল মানুষেরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়িতে ফিরতে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভুষণ। এই লকডাউনকে তিনি সম্পূর্ণ অমানবিক আখ্যা দেন।

ওই আবেদনে তিনি বলেন, ‘যাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল এসেছে তাদের অবশ্যই জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে কিংবা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাড়ির বাইরে ও পরিবার থেকে আলাদা রাখা যায় না। সরকারের উচিত তাদের নিজ নিজ শহর ও গ্রামে নিরাপদে পৌঁছোতে দেওয়া এবং এজন্য প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা।’

নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়