ভারতে এই প্রথম ট্রান্সজেন্ডার পরিবার
ঢাকা: ভারতীয় সংস্কৃতিতে এখন কী কী গুণ থাকলে আদর্শ বউ হওয়া যায়? এ প্রশ্নের সদুত্তর পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না আপনাকে। পত্রিকায় বিয়ের বিজ্ঞাপনগুলোর দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নিলে আপনিও মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন।
বুঝতে পারবেন, ফর্সা, সুন্দরী, গৃহকর্মে নিপুণা, ভদ্র, নম্র, ঘরোয়া ইত্যাদি গুণে গুণান্বিত হলেই আপনি বিয়ের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত। কিন্তু সমাজের প্রচলিত এ ধারণার বাইরে গিয়ে কেউ যদি হিজড়াকে বিয়ে করে তবে তার ধাক্কা আপনি কীভাবে নেবেন?
যে যেভাবেই নিক, সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশে এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে। এ স্থানের একটি পরিবার তাদের সংসারে ভালোবেসে গ্রহণ করল তাদের ট্রান্সজেন্ডার বৌমাকে। আর এটিই ভারতের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার পরিবার।
৩০ বছরের ট্রান্সজেন্ডার সঞ্জনার সঙ্গে দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল বছর উনত্রিশের সাদাবের। সঞ্জনা গণমাধ্যমকে জানান, সাদাবের পরিবার তাকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। তিনি গেলে সাদাবের বাবা-মা তাকে জানান, তারা তাকে পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন।
সাদাব জানান, সঞ্জনার ভাই অমিত সঞ্জনাকে ত্যাজ্য করেছিল। কিন্তু তার পরিবার সঞ্জনাকে মেনে নেয়ার ১৫ দিন পর অমিত এগিয়ে এসে ভুল স্বীকার করে নেয়। একটি কমিউনিটি বেসড অরগানাইজেশনে কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করেন সঞ্জনা। সাদাব নিজের পরিবহন সংস্থা চালান। দুই পরিবারই ভোপালের বাসিন্দা।
সঞ্জনার বাড়ি জাহাঙ্গিরবাদে, সাদাবের বাগ ফরহত আফজা। সাদাবের বোন নাজমা ও ভগ্নিপতি সেলিমের চেষ্টাতেই আজ দুই পরিবারে স্বীকৃত সাদাব ও সঞ্জনা।
গণমাধ্যমকে নাজমা জানান, ওদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। আমাদের সেটা সম্মান করা উচিত। সমাজ মেনে নেয় না বলে আমরা নিজেদের সন্তানদের কেন দূরে সরিয়ে রাখবো?
সঞ্জনা জানান, ছোটবেলা থেকেই পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের থেকে অপমান সহ্য করেছি আমরা। কিশোর বয়সে আমি হিজড়েদের সঙ্গে নেচেছি, বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। কলেজে যাওয়া দুঃস্বপ্ন ছিল।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম