ফার্গুসনে পুলিশপ্রধানের পদত্যাগ, দুই কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ
মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতিবেদনে ফার্গুসনে বর্ণবাদী আচরণের দায় নিয়ে পুশিশপ্রধানের পদত্যাগের পরপরই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করা হয়েছে। গুলিতে কেউ নিহত না হলেও আঘাত গুরুতর বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এর আগে, গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগের প্রতিবেদনে বর্ণবাদী আচরণের প্রমাণ মেলায় মিজৌরি অঙ্গরাজ্য ফার্গুসন শহরের পুলিশপ্রধান থমাস জ্যাকসন পদত্যাগ করেন। পুলিশপ্রধানের এই পদত্যাগ ১৯ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। বিবিসি।
সেন্ট লুইস কাউন্টির পুলিশ প্রধান জন বেলমার ফার্গুসনের দুই কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তার মুখে ও অপর পুলিশ কর্মকর্তার কাঁধে গুলি লেগেছে।
জন বেলমারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর বুধবার রাতে ফার্গুসন শহরের পুলিশ সদরদপ্তরের বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। তারা শুরুতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিলেও মধ্যরাতের পর তিনটি গুলির ঘটনায় পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
সেন্ট লুইস কাউন্টির পুলিশ প্রধানের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের লক্ষ করেই গুলি করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন।
বিচার বিভাগের প্রতিবেদনে ফার্গুসন শহরের পুলিশ বিভাগ ও পৌর আদালতে বিরুদ্ধে ব্যাপক মাত্রায় বর্ণবাদী আচরণের তথ্যপ্রমাণ উঠে আসে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বুধবার পদত্যাগ করেন শহর পুলিশপ্রধান থমাস জ্যাকসন।
পদত্যাগপত্রে জ্যাকসন লেখেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমি পদত্যাগ করছি। এই নগর ও নগরবাসীর সেবা করতে পারাটা আমার জন্য সম্মান ও সুযোগের বিষয় ছিল।’
জ্যাকসনের আগে ফার্গুসন উপশহরের প্রধান নির্বাহী জন শোসহ আরো কয়েক সরকারি কর্মকর্তা একই অভিযোগের মুখে পদত্যাগ করেছেন।
বিচার বিভাগের তদন্তে ফার্গুসনের পুলিশের বিরুদ্ধে আইন বহির্ভূতভাবে আফ্রিকান-আমেরিকানদের নিয়মিতভাবে গ্রেফতার ও হয়রানির প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
২০১৪ সালের ৯ অগাস্ট ফার্গুসনের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউন নিহত হন। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
মিজৌরির এক গ্রান্ড জুরি এবং পরে বিচার বিভাগীয় একটি তদন্তেও ব্রাউনের হত্যাকারী ড্যারেন উইলসন নামের ওই শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়মুক্তি দেয়।
উল্লেখ্য, ফার্গুসনের সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী কৃষ্ণাঙ্গ হলেও স্থানীয় পুলিশ বাহিনী শ্বেতাঙ্গপ্রধান। শহরটিতে কৃষ্ণাঙ্গরা প্রায়ই পুলিশের অন্যায্য আচরণের শিকার হয় বলে অভিযোগ করা হয়ে আসছিল।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম