আইন ভঙ্গের অভিযোগে ফ্রান্সে ডেটিং সাইটের বিরুদ্ধে মামলা
ফ্রান্সে এক অনলাই ডেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন রক্ষণশীল ও ক্যাথলিকদের আতঙ্কগ্রস্থ করে তুলেছে। সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করতে দম্পতিদের উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে সাইটটির বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিবিসি।
গ্লীডেন নামে ফরাসি প্রতিষ্ঠানটি নিজেদেরকে বিবাহিত নারীদের জন্য বিশ্বের শীর্ষ দাম্পত্য বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরির সাইট বলে দাবি করে। রক্ষণশীল ও ক্যাথলিকদের আতঙ্কগ্রস্থ করে তোলা বিজ্ঞাপনে বিবাহিত নারীদের প্রতারণাকে জায়েয ও মজার বলে ভাবতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
গণপরিবহনে গ্লীডেনের ওই উত্তেজক বিজ্ঞাপণ দেখে ক্ষুব্ধ ক্যাথলিক সংস্থা সাইটের বৈধতা নিয়ে মামলা করে। নাগরিকদের অমিতাচারে উৎসাহ ও প্রচারে ডেটিং সাইটের অনুমোদন দেওয়া ফ্রান্সের বিয়ের আইনের লঙ্ঘণ বলে মনে করছেন অনেকে।
বর্তমান সময়ে মামলার বিষয়টিকে অদ্ভুত মনে হলেও ফরাসি পারিবারিক আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হেরে গেলেও আইনি লড়াইয়ে ক্যাথলিক সংস্থার সম্মানজনক সাফল্যেরও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
ক্যাথলিক সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ম্যারি এ্যান্ড্রেস এ প্রসঙ্গে বলেন, ব্যক্তিগত যৌনতা সংশ্লিষ্ট প্রচুর সাইট থাকলেও গ্লীডেন সরাসরি বিবাহিতদের মধ্যে সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাসভঙ্গের উৎসাহ দিয়ে আইন লঙ্ঘণ করেছে।
তিনি বলেন, গ্লীডেন বিবাহিত নারীদের বিবাহ-বহির্ভূত যৌনতার সুযোগ নিতে প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে।
জ্যঁ ম্যারি এ্যান্ড্রেস বলেন, ফ্রান্সে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে সংসদ পর্যন্ত সকলেই বিয়েকে একটি সার্বজনীন প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখে থাকেন। এটাই আইন। গ্লীডেনের বিরুদ্ধে মামলায় আমরা এটাই বলতে চাই যে, প্রতিটি আইনের একটি অর্থ আছে।
গ্লীডেন অভিযোগ স্বীকার না করে বলেছে, বিবাহিত নারীরা তাদের বিশেষ ভোক্তা শ্রেনী।
২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করা এই ওয়েবসাইটে ইউরোপে ২.৩ মিলিয়ন সদস্য রয়েছে। এরমধ্যে ফ্রান্সেই রয়েছে এক মিলিয়ন। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে ক্ষুদ্র পরিসরেও এই সাইটের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম