News Bangladesh

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৪৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

চীনের হ্যাকারদের কবলে মার্কিন অর্থ দপ্তরের সিস্টেম

চীনের হ্যাকারদের কবলে মার্কিন অর্থ দপ্তরের সিস্টেম

ছবি: ইন্টারনেট

হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি ঘটে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে। আর তা প্রকাশ্যে আসে এ বিষয়ে মার্কিন অর্থ দপ্তরের তরফে আইনপ্রণেতাদের চিঠি পাঠানোর পর।

এই হ্যাকিংকে ‘বড় ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করে দেশটির অর্থ দপ্তর বলছে, এ ঘটনার প্রভাব তদন্তে তারা এফবিআই ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘চীনভিত্তিক এক ব্যক্তি’এই হ্যাকিং চালিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

‘রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট হ্যাকাররা’ মার্কিন অর্থ দপ্তরের সিস্টেমে ঢুকে কর্মীদের ওয়ার্কস্টেশন ও কিছু অগোপনীয় নথি হাতিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

অর্থ দপ্তর চিঠিতে আইনপ্রণেতাদের লিখেছে, “অর্থ দপ্তরের নীতি অনুসারে, অনুপ্রবেশের জন্য দায়ী এপিটি (অ্যাডভান্সড পারসিসটেন্ট থ্রেট) ‘বড় সাইবার নিরাপত্তা হুমকি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।”

ওয়াশিংটন ডিসিতে চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বৃটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি বলেছে, অভিযোগটি একটি ‘মানহানিকর আক্রমণের’ অংশ, যেটি ‘কোনো তথ্যগত ভিত্তি ছাড়াই’করা হয়েছে।

আইনপ্রণেতাদের দেওয়া চিঠিতে মার্কিন অর্থ দপ্তর বলছে, পরিষেবা সরবরাহকারী তৃতীয় পক্ষের ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিরাপত্তা সুরক্ষা এড়াতে সক্ষম হয় চীনভিত্তিক হ্যাকার। ওই পরিষেবা সরবরাহকারী তার কর্মীদের ভার্চুয়ালি প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে।

বিয়ন্ডট্রাস্ট নামের ওই কোম্পানির সেবা অফলাইনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা বলেন, এরপর থেকে অর্থ দপ্তরের সিস্টেমে হ্যাকারের প্রবেশের আর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বিবিসি লিখেছে, হ্যাকিংয়ের ঘটনায় সার্বিকভাবে কেমন প্রভাব পড়তে পারে তা নির্ধারণে এফবিআইয়ের পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি এবং তৃতীয় পক্ষের ফরেনসিক তদন্তকারীদের সঙ্গে কাজ করছে অর্থ দপ্তর।

বিয়ন্ডট্রাস্টের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর তাদের পক্ষ থেকে হ্যাকিংয়ের বিষয়টি অর্থ দপ্তরকে জানানো হয়।

কোম্পানির ভাষ্য, সন্দেহজনক কার্যকলাপটি প্রথমে ২ ডিসেম্বর চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে এটি হ্যাকিং কি না তা নির্ধারণ করতে তাদের তিন দিন সময় লেগে যায়।

ওই মুখপাত্র বলেন, হ্যাকার দূর থেকে অর্থ বিভাগের বেশ কয়েকটি ওয়ার্কস্টেশনে এবং কিছু অগোপনীয় নথি হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়, যেসব রেখেছিলেন ব্যবহারকারীরা।

তবে এসব ফাইলের প্রকৃতি বা কখন- কতক্ষণ ধরে এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি অর্থ বিভাগ। তারা কম্পিউটার সিস্টেমের গোপনীয়তার স্তরও প্রকাশ করেনি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়