News Bangladesh

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

আরও কড়াকড়ি আরোপ হচ্ছে টিকটকে

আরও কড়াকড়ি আরোপ হচ্ছে টিকটকে

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

শিগগিরই টিকটক এমন ফিল্টারগুলো মাইনর বা ১৮ বছরের নিচে ব্যবহারকারীদের জন্য বন্ধ করতে যাচ্ছে যা মুখমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যগুলোকে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করে। ফিল্টারগুলো, যা ঠোঁটকে মোটা বা চোখকে বড় দেখায়। আর কিশোর-কিশোরীরা ব্যবহার করতে পারবে না। তবে খরগোশের কান বা মজার কিছু যোগ করার মতো ফিল্টারগুলো ঠিকই চালু থাকবে।

এক বিবৃতিতে টিকটক বলেছে, অথেনটিসিটির সংস্কৃতি, সম্মান সমর্থনকে উত্সাহিত করার মাধ্যমে আমরা এমন একটি ডিজিটাল জগত তৈরি করতে পারি যেখানে প্রত্যেকে নিজেকে তাদের আসল রূপে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।

বিশ্বব্যাপী রোলআউট এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ

পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বব্যাপী এই পরিবর্তন কার্যকর হবে। টিকটকের এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ হলো ইন্টারনেটে মাইনরদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগ। অনেক কিশোর-কিশোরী, যারা এই ধরনের ফেসিয়াল বিউটি ফিল্টার ব্যবহার করেছে, তাদের মধ্যে হতাশা নিজের চেহারা নিয়ে উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বিশেষ করে, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে চালু হওয়া বোল্ড গ্ল্যামার ফিল্টারটি কিশোরদের জন্য নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এই ফিল্টারটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবাস্তব সৌন্দর্যের মানদণ্ড তৈরি করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছিল। তবে যেসব ফিল্টার কেবল মেকআপ যোগ করে কিন্তু মুখের গঠন পরিবর্তন করে না, সেগুলো কিশোরদের জন্য অনুমোদিত থাকবে।

১৩ বছরের নিচে শিশুদের একসেস বন্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার

টিকটক জানিয়েছে, তারা ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ঠেকানোর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিচ্ছে। এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে প্রশিক্ষিত মডারেটরদের কাছে পাঠানো হবে, যারা নিশ্চিত হলে অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা

টিকটকের ভবিষ্যৎও বর্তমানে কিছুটা অনিশ্চিত। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টিকটকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পর এখন তিনি মত বদলে এটি চালু থাকার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। যদিও তার এই অবস্থানের পেছনে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক স্বার্থের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

টিকটকের এই পদক্ষেপ কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিশোরদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে? সময়ই তা বলে দেবে।  সূত্র: ইন্টারনেট

নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়