এআই টুল ব্যবহার করেন ৯৩ শতাংশ জেন-জি কর্মী
নিজের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে জেনারেটিভ এআই টুল ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন অধিকাংশ জেনারেশন জেড বা জেন-জি কর্মী।
সম্প্রতি ‘হ্যারিস পোল’ ও ‘গুগল ওয়ার্কস্পেস’-এর গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ওই গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সপ্তাহে দুই বা তারও বেশিবার জেনারেটিভ এআই টুল ব্যবহার করেন ৯৩ শতাংশ জেন-জি কর্মী। কাজের ক্ষেত্রে একই কাজ করেন ৭৯ শতাংশ মিলেনিয়াল কর্মী।
৯৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর অনুমান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের শিল্প বা কাজের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে এআই।
গবেষণায় দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিভিন্ন কাজে এআই টুল ব্যবহার করছেন ৮২ শতাংশ কর্মী। পাশাপাশি ইমেইলের খসড়া তৈরিতে বা ভাষার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করছেন ৭০ শতাংশ কর্মী।
গবেষণায় ৮৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, লেখার ক্ষেত্রে সঠিক শব্দ ব্যবহারে তাদের সহায়তা করতে পারে এআই। ৮৭ শতাংশ বলছেন, বড় আকারের বিভিন্ন ইমেইল তৈরিতে এআই ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তারা।
গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক হাজারেরও বেশি ‘তথ্য পরিচালনা বা ব্যবহারের সঙ্গে জড়িত’ কর্মীর কাছ থেকে সাড়া পেয়েছে গুগল। এতে অংশগ্রহণ করেছেন প্রকৌশলী, প্রযুক্তি কর্মী, বিশ্লেষক ও অন্যান্য খাতের নানা কর্মী।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ২২ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে এবং কাজের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের মধ্যে রয়েছে নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষাও।
গুগল ওয়ার্কস্পেস-এর পণ্য বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউলি কোওন কিম বলছেন, কাজের ক্ষেত্রে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে এআই ব্যবহার করছেন উদীয়মান কর্মীরা।
তিনি বলেন, “কেবল দক্ষতা বাড়ানোর হাতিয়ার হিসাবে এআইয়ের ব্যবহার করছেন না কনিষ্ঠ এ নেতারা। বরং নিজেদের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে সহায়তার জন্যও অনুঘটক হিসাবে ব্যবহার করছেন এআই।”
এছাড়া, ৯০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, তারা যদি জানতে পান এআই তাদের জন্য নোট নিচ্ছে তবে ‘ব্যস্ত সময়ে বা পথে চলতে চলতে’ কোনও মিটিংয়ে যোগ দিতে আরও আত্মবিশ্বাসী হন তারা।
বিভিন্ন কোম্পানির জ্যেষ্ঠ কর্মীদের আরও ভাল নেতৃত্ব দিতে এআই সহায়তা করতে পারে বলে মনে করেন গবেষণার ৮৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। ৪৭ শতাংশের ধারণা, কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে যোগাযোগে সহায়তা করতে পারে এআই। সূত্র: ইয়াহোটেক
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি