News Bangladesh

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:০৬, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আপডেট: ২১:০৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

২০২১ সালে দেশে আসছে  হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি

২০২১ সালে দেশে আসছে  হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি

২০২১ সালের  মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আনা হবে। জনসচেতনতা ও প্রদর্শনের জন্য প্রকল্পে সংযোজিত হবে হাইড্রোজেন রি-ফুয়েলিং স্টেশন ও হাইড্রোজেন ফুয়েলসেল কার।

পর্যায়ক্রমে এর প্রসারতা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।  
সোমবার(২২ ফেব্রুয়ারি) নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) টেকসই ও নবায়নযোগ্য কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) আয়োজিত ‘প্রোসপেক্ট অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব হাইড্রোজেন ফুয়েল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন একথা বলেন।

কর্মশালায় স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে  বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান  প্রফেসর ড. আফতাব আলী শেখ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাইড্রোজেন এনার্জি গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবদুস সালাম।

সিনিয়র সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ব প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা পিছিয়ে থাকবো কেন? গ্যাস বা কয়লা একদিন ফুরিয়ে যাবে। আমাদের বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। দক্ষিণ কোরয়িা হাইড্রোজেন জ্বালানিতে অনেক এগিয়ে গেছে। জার্মানিও অনেক এগিয়ে গেছে। সারা পৃথিবী এটা নিয়ে কাজ করছে। এক বছরের মধ্যেই হাইড্রোজেন কার আসবে। ফসিল ফুয়েল অর্থাৎ কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল যত বেশি পোড়ানো হয় কার্বন ততই বাড়ে।  

‘হাইড্রোজেন জ্বালানি পরিবেশবান্ধব। বায়ু ও পানি থেকে এই জ্বালানি তৈরি করা যায়। যতদিন হিমালয় পর্বত আছে ততদিন দেশে পানির অভাব হবে না। হাইড্রোজেন জ্বালানি দিয়ে কিছু গাড়ি ঘোড়া চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। ’

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও বায়োমাস আছে। পানি ও বায়োমাসকে কাঁচামাল হিসেবে সফল ব্যবহারে অসংখ্য ইউনিট হাইড্রোজেন উৎপাদন সম্ভব। বাংলাদেশে কাচাঁমাল হিসেবে এ দু’টির সফল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি মজবুত জ্বালানি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।  

‘সীমিত আকারের হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য পাইলট প্ল্যান্ট স্থাপন, হাইড্রোজেন মজুদের জন্য ইনোভেটিভ পদার্থের সংশ্লেষ বা উন্নয়ন এবং হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল প্রস্তুতকরণের পাশাপাশি প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট দক্ষ জনবল তৈরি করা চলমান হাইড্রোজেন এনার্জি গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। ’

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়