ক্যাশ সার্ভার উন্মুক্ত হলো
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দেশের সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বা আইএসপিগুলোকে তাদের নিজস্ব ক্যাশ সার্ভার সেটআপ এবং ব্যবহারের অনুমোদন দিলো টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তথা বিটিআরসি।
ক্যাশ সার্ভার হলো এক ধরনের লোকাল সার্ভার যা দেশীয় ইন্টারনেট প্রোভাইডাররা নিয়ন্ত্রণ করে। এর মাধ্যমে দেশীয় বা আঞ্চলিক ইন্টারনেট কনটেন্টগুলো ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। এর মাধ্যমে ২০২১ সালে বিটিআরসির একটি নির্দেশনাকে বাতিল করা হলো যার মাধ্যমে দেশীয় সব আইএসপি প্রোভাইডারদের তাদের নিজস্ব ক্যাশ সার্ভার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
অনেকে মনে করেন এভাবে লোকাল আইএসপিদের ক্যাশ সার্ভার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে পুরো ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রয়োজনে হাতে গোনা কয়েকটি সার্ভার অপারেটর বন্ধ করে দিলেই সারা দেশের ইন্টারনেটকে বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব হতো। আইএসপি ক্যাশ সার্ভার পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইন্টারনেটের গতি এখন অনেক বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে এখন থেকে সব ক্যাশ সার্ভার মালিকদের তাদের বিস্তারিত তথ্য প্রতি মাসে বিটিআরসিকে জমা দিতে হবে। মনিটরিং এর জন্য সকল ক্যাশ সার্ভার বিটিআরসির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
সোমবার কমিশনের উপপরিচালক এসএম গোলাম সারোয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে জানা যায়, ক্যাশ সার্ভার স্থাপনের আগে অপারেটরদের সার্ভার প্রদানকারী ও সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্র, সংখ্যা, ব্র্যান্ড, মডেল নম্বর ও ক্যাপাসিটি; অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশসহ স্থাপনের ঠিকানা এবং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সম্মতি ও অনুমোদন সংক্রান্ত ই-মেইল কপি জমা দিতে হবে।
একইসঙ্গে ক্যাশ সার্ভার আমদানির জন্য আগেই বিটিআরসি থেকে অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। স্থাপনের পর সার্ভারের আইপি ঠিকানা, এএসন এবং ডাটা ইনফরমেশন সিস্টেম (ডিআইএস) সংশ্লিষ্ট তথ্য কমিশনে দাখিল করতে হবে। সার্ভার প্রতিস্থাপন, স্থানান্তর ও আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি লাগবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএএইচ