সৃজনশীল চাকরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে অনেকে ধারণা করেছিল এটি মানুষকে সৃজনশীল কাজ করতে সহায়তা করবে, তার কাজকে প্রতিস্থাপন করবে না। কিন্তু হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, এআই শুধু সহায়ক নয়, বরং তা সরাসরি মানুষের কাজ দখল করে ফেলছে।
চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পর মানুষের জন্য লেখালেখির চাকরি ৩০ শতাংশ ও প্রোগ্রামিংয়ের চাকরি ২০ শতাংশ কমেছে। আর গত এক বছরে ডিজাইনারের চাকরির বিজ্ঞপ্তি কমেছে ১৭ শতাংশ। এই পরিবর্তনগুলো হঠাৎ ঘটছে না, বরং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
হার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, চ্যাটজিপিটি আসার পর থেকে প্রোগ্রামিং বা কোডিংনির্ভর চাকরি ২০ শতাংশ কমেছে। একসময় কোডিং ছিল নিরাপদ পেশা। কিন্তু এআই এখন কোড লেখা, ত্রুটি সংশোধন, এমনকি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করতে পারছে, যা একসময় দক্ষ প্রোগ্রামাররা মাথা খাটিয়ে করতো। এখন এআই সেই কাজ কয়েক মিনিটেই করে দিচ্ছে।
ডিজাইনের কাজেও এআইর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এআইয়ের দাপট এখন গ্রাফিক ডিজাইন থেকে শুরু করে ত্রিমাত্রিক মডেলিংয়েও। ডাল-ই-২ এবং মিডজার্নির মতো এআই টুল এখন উন্নত মানের ছবি তৈরি করতে সক্ষম।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএএইচ