এভারেস্টের ৬ হাজার মিটার উচ্চতায় ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক
মাউন্ট এভারেস্টে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। আর এই নেটওয়ার্ক স্থাপনে আট টন ওজনের সরঞ্জাম কয়েকটি পোষা বুনো ষাঁড়ে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এভারেস্টে এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করে হুয়াওয়ে ও চায়না মোবাইল কোম্পানি। তারা বলছে, এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাইভ-জি অ্যান্টেনা। যা ৬ হাজার ৫০০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে।
চায়না মোবাইল হংকং (সিএমএইচকে) ও ফেসবুকে যৌথভাবে এটা স্থাপন শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে।
তারা বলছে, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৬ হাজার মিটার উপরে মাউন্ট এভারেস্টে সফলভাবে ফাইভ-জি স্টেশন স্থাপন করা হয়।’
সংস্থাটি বলছে, এটি ‘পর্বতারোহী বন্ধুদের’ যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে আগের থেকে আরও সহজ করে দেবে। এর মাধ্যমে স্বপ্ন ছিল পর্বতারোহীরা ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক দিয়ে তাদের আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে ফোরকে কোয়ালিটি সম্পন্ন সরাসরি ভিডিও সম্প্রচার করা।
হুয়াওয়ে বলছে, এই প্রযুক্তি এভারেস্টের চরম পরিবেশের জন্য উপযুক্ত করে বানানো হয়েছে। যেখানে এটি বুনো ষাঁড়ের পিঠে বহন করে নিয়ে যাওয়া যাবে।
পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে এসব ষাঁড় হিমালয় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কারণ তাদের ঘন পশম এবং চর্বিযুক্ত স্তর, বড় ফুসফুস ও হার্ট উচ্চতায় উঠতে সাহায্য করে। এদের সাধারণত ইয়াকস বলা হয়।
পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে এবং ৫ হাজার ৮০০ মিটার উচ্চতায় একটি ট্রানজিশন ক্যাম্পে তিনটি ফাইভ-জি স্টেশন নির্মিত হয়েছে।
এবার সাড়ে ৬ হাজার উচ্চতায় আরও দুটি স্টেশন স্থাপন করা হলো। এর ফলে এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়ায় সিগন্যাল উঠতে সক্ষম হবে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপন করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, পর্বতারোহী, বিজ্ঞানী ও এই অঞ্চলে কর্মরত অন্য বিশেষজ্ঞদের জন্য ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক কাজে দেবে।
সিএমএইচকে বলছে, ‘এই নেটওয়ার্ক দিয়ে এক জিবি ফাইল মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্যে ডাউনলোড করা যাবে।’ সূত্র: দ্যা সান
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ