মহাকাশ যাত্রা নিয়ে মজার ঘটনা
নিউজবাংলাদেশ.কম রিপোর্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নভোচারীরা যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমান, তখন হয়তো পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তের একা কোনো কিশোর বা কিশোরীকে পৃথিবীর বাইরে অজানা মহাশূন্য হাতছানি দেয় ঘড়ের গণ্ডি পার হয়ে অজানায় অভিযানের। পৃথিবীর সীমানা পেরিয়ে এই অভিযানে জীবনের ঝুঁকিটা যে কতো বড় সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে তার মানে এই নয় মহাকাশ অভিযানের পুরোটা জুড়েই থাকে টানটান উত্তেজনা, জীবনের ঝুঁকি এড়াতে সদা তৎপর মহাকাশচারীরা। সংশ্লিষ্ট অনেক ঘটনাই জোগায় নিখাদ হাসির খোরাক। কিছু ঘটনা শুনলে হাসির পাশাপাশি সহানুভূতি যাগে মহাকাশ বিজ্ঞানী আর নভোচারীদের প্রতি। আবার কিছু ঘটনা শুনলে মনে হবে এটা কোনো সত্যি ঘটনা নয়, মঞ্চে একজন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানের লোক হাসানো গল্প মাত্র।
চন্দ্রজয় থেকে শুরু করে মঙ্গল অভিযান পর্যন্ত এমন মজার কয়েকটি ঘটনা জানিয়েছে লিস্টভার্স ডটকম।
চাঁদের অসুখ!: যদি ভেবে থাকেন নিল আর্মস্ট্রং আর বাজ অলড্রিন চাঁদ থেকে ফিরে পৃথিবীতে পা দেওয়া মাত্র তাদের নিয়ে উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল তবে ভুল করবেন। চাঁদে প্রথম মানব সন্তান হিসেবে পা দিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন এই দুই নভোচারী। কিন্তু পৃথিবীতে অবতরণ করা মাত্র এই দুজনকে টানা ২১ দিন একরকম বন্দী করে রাখা হয়েছিল একটা ট্রেইলারে। পাছে যদি এই দুজনের গায়ে ভর করে চাঁদ থেকে উড়ে আসা কোনো জীবানু বারোটা বাজিয়ে দেয় মানব সভ্যতার!
শুধু নিল আর্মস্ট্রং আর বাজ অলড্রিন নন, এরপরের তিনটি মিশনে চাঁদের বুকে পা দেওয়া নভোচারীদেরও যেতে হয়েছে একই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে। অ্যাপলো ১৪ মিশনের পর চাঁদে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব নেই বলে নিশ্চিত হন বিজ্ঞানীরা। মাঝের মিশনগুলোর নভোচারীদের পোহাতে হয়েছে এই ভোগান্তি।
২১ দিন আটকে রেখে রীতিমতো গবেষণা চালানো হয় নিল আর্মস্ট্রং আর বাজ অলড্রিনের উপর। তারা চাঁদ থেকে কোনো জীবাণু বয়ে আনেননি সেটা নিশ্চিত হওয়ার পরই মুক্তি মেলে এই দুই নভোচারীর। এরপর ২৫টি দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা, অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন উৎসবমুখর প্যারেডে। এমনকি স্বাক্ষাৎ পেয়েছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথেরও।
নিউজবাংলাদেশ.কম