এইচএমপিভি: সতর্ক বেনাপোল স্থলবন্দর
ছবি: সংগৃহীত
করোনা ও এমপক্সের পর এবার নতুন ভাইরাস হিউম্যান মেটোপনিউমো (এইচএমপি) সংক্রমণ রোধে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম ভারত ফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। শরীরে এইচএমপি উপসর্গ আছে কিনা সে বিষয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করা হচ্ছে । সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য পরামর্শ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ।
আব্দুল মজিদ বলেন, বিকালে এইচএমপিভি সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক একটি চিঠি স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে আমাদের কাছে এসেছে।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এই রোগ ধরা পড়েছে। আমরা অত্যন্ত সতর্ক আবস্থায় আছি। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্যানিং করা হচেছ।আমরা ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যাচ্ছি। তাদের নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এইচএমপি ভাইরাসের আগে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগে মাঙ্কিপক্স, ওমিক্রন, করোনা, নিপা ও জিকা ভাইরাস রোধেও সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল।
সতর্কতা বজায় রাখতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হচ্ছে। মাস্ক পরা, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান, সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ করছে ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূঁইয়া জানান, ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের কেউ আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করছেন ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
২০০১ সালে প্রথম এইচএমপি শনাক্ত হয়েছিল নেদারল্যান্ডসে। দুই বা তার বেশি মানুষের মধ্যে সরাসরি সংযোগের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। এছাড়া সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করলে তা থেকেও ভাইরাসটি ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চীনে এইচএমপি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেটি জাপান, মালয়েশিয়া, হংকং সম্প্রতি সংক্রমণ ছড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি