মৃত্যু শঙ্কাহীন এইচএমপিভি, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই
ছবি: সংগৃহীত
হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ তথ্য জানান তিনি।
ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, বাংলাদেশে প্রথম এইচএমপিভি শনাক্ত হয় ২০১৭ সালে। এরপর প্রতিবছরই কমবেশি শনাক্ত হয়ে আসছে। এ পর্যন্ত অনেকের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হলেও জটিলতার ইতিহাস নেই।
এ কারণে এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য তার।
তিনি বলেন, ভাইরাসটি তেমন ক্ষতিকারক নয়। এর লক্ষণ সাধারণ নিউমোনিয়ার মতো, জ্বর-সর্দি-কাশি হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। মৃত্যুর আশঙ্কা কম। মৃত্যু হার নেই বললেই চলে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চীন-জাপানে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যে কারণে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাই বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগও।
তবে ভারতের শনাক্ত হওয়া এইচএমপি ভাইরাসের সঙ্গে চীনে মিউটেশন হওয়া এইচএমপি ভাইরাসের কোনো যোগ নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, এই ভাইরাসটি আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই আছে। এটা তেমন ক্ষতিকর না। এটা শুধু শিশু এবং বয়স্কদের সংক্রমিত করে। মূলত শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা করে থাকে। অনেক সময় গায়ে ব্যাথা, বমিও ও নিউমোনিয়া হয়। এতে মৃত্যুর শঙ্কা যে খুব একটা বেশি, তা নয়। মৃত্যুহার নেই বললেই চলে। এতে আতঙ্কগ্রস্থ হওয়ার কিছু নেই।
২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল এইচএমপিভি। দুই বা তার বেশি মানুষের মধ্যে সরাসরি সংযোগের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। এ ছাড়া সংক্রমিত কোথাও কিছু স্পর্শ করলে,তা থেকেও ভাইরাসটি ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।
এইচএমপিভির কারণে শ্বাসতন্ত্রের উপরের অংশে মাঝারি ধরনের সংক্রমণ হয়। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণকে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ থেকে আলাদা করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে সর্দিকাশি ও জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি