News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২১ এপ্রিল ২০২০
আপডেট: ০৪:২৬, ২৪ এপ্রিল ২০২০

সোহরাওয়ার্দীতে করোনা চিকিৎসা শুরু আগামী সপ্তাহে

সোহরাওয়ার্দীতে করোনা চিকিৎসা শুরু আগামী সপ্তাহে

নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সৃষ্ট মহামারী দিন দিন বেড়েই চলছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। সেইসঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সরকারের নির্দেশনায় এরই মধ্যে কিছু বিশেষায়িত হাসপাতালে শুধুমাত্র কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই তালিকায় নতুনভাবে সংযুক্ত হয়েছে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আগামী সপ্তাহ থেকে সেখানে কোভিড-১৯ চিকিৎসা শুরু হবে।
প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, “এখানে দুভাবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। হাসপাতালের সাধারণ রোগীদের পঙ্গু হাসপাতালসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। কিডনি ডায়ালাইসিস রোগীদের আমরা কিডনি ইনস্টিটিউটে রেফার করছি। এর মধ্যে অনেককেই সুস্থ হওয়ার পরে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর শ’খানেক রোগী আছে। তাদেরও খুব দ্রুতই চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হবে।”
ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, “যেহেতু কোভিড-১৯ চিকিৎসা শুরু হতে যাচ্ছে, তাই আমরা চিকিৎসক, নার্সসহ সবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করছি। কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালেরও আলাদা প্রস্তুতি দরকার। যে গেট দিয়ে রোগী প্রবেশ করবে সে গেট দিয়ে কিন্তু সে বের হবে না। সেগুলো হাসপাতালে এখন কার্যকর করার চেষ্টা করছি। সেইসঙ্গে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবে সেগুলোরও কিছু বিষয় আছে।”
সোহরাওয়ার্দীর পরিচালক বলেন, “চিকিৎসকরা পিপিই কীভাবে পড়বে, যাওয়ার সময় কোথায় তা পরিবর্তন করবে- এগুলো নিয়েও প্রস্তুতির বিষয় থাকে। সেগুলো নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি সব কিছু মিলিয়ে একটা সিস্টেম কমপ্লিট করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।”
এই মুহূর্তে হাসপাতালে ১০টি ভেন্টিলেটর আছে জানিয়ে ডা. উত্তম বড়ুয়া বলেন, “ভেন্টিলেটর আছে এই মুহূর্তে ১০টি। এই সংখ্যাকে কীভাবে ২০-এ উন্নীত করা যায় তার পরিকল্পনা করছি। এগুলো করতে গিয়ে এই সপ্তাহ সময় লাগবে। আগামী সপ্তাহ থেকে কোভিডের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে বিশ্বাস করি। এছাড়াও ওয়ার্ডগুলোতে অক্সিজেনের লাইন টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
তিনি বলেন, “এটা ৮৫০ শয্যার বেডের হাসপাতাল। কিন্তু কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ ৪০০-৫০০ রোগী আমরা ভর্তি করতে পারব। প্রাথমিক পরিকল্পনার মধ্যে চারশ হিসেব করছি, যা পরবর্তী সময়ে আরও বাড়াবো। কারণ কোভিড-১৯ এর জন্য ছয় ফুট দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়