বিরল বিড়াল দ্বীপ
ঢাকা: গল্পের শুরু বেশ কয়েক বছর আগে। দক্ষিণ জাপানের একটি প্রত্যন্ত দ্বীপ আওশিমা। ওই দ্বীপে মাছ ধরেতে যেত মৎস্যজীবীরা। কিন্তু হঠাৎ এক উপদ্রব তাদের অতিষ্ঠ করে তুলল। তাদের মাছ ধরার নৌকার উপর অত্যাচার চালাতে শুরু করল বেশ কিছু ইঁদুর। তাদের শায়েস্তা করার উপায় খুঁজতেই মৎস্যজীবীরা ওই দ্বীপে নিয়ে এল বিড়ালদের।
এর পর যথারীতি শুরু হলো ইঁদুর-বিড়াল খেলা। ইঁদুর দূর করে বিজয়ীর বেশে সেই দ্বীপেই ঘাঁটি গেড়ে বসল বিড়ালরা। এখন মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই সে দ্বীপে বেশি। মানুষ নয়, বিড়ালই সেখানে রাজা। তারাই রাজত্ব করছে, তারাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
সে দ্বীপে প্রত্যেক ৬টি বিড়াল পিছু মাত্র একজন মানুষ। সেখানে মানুষের মোট সংখ্যা ২২টি আর বিড়াল প্রায় ১২০টি। বাড়িতে কিংবা মাছ ধরার নৌকার এক পাশে বসে থাকে তারা। ওই দ্বীপের বেশরভাগ মানুষই কাজ থেকে অবসরপ্রাপ্ত। এছাড়া দ্বীপের অন্যান্য মানুষ কাজের সন্ধানে দ্বীপের বাইরে। তবে আগে কিন্তু এ দ্বীপে মানুষের সংখ্যা এত কম ছিল না। ১৯৪৫ সালে এই দ্বীপে ৯০০ মানুষ ছিল।
এখন বেশির ভাগ মানুষ নৌকায় চেপে ‘ক্যাট আইল্যান্ড’ পরিদর্শনে যায়। এই দ্বীপে না আছে খাবারের দোকান, না আছে গাড়ি। কিন্তু তবুও বিড়ালপ্রেমীরা একবার ঘুরে আসে এখানে। এখানকার বিড়ালদের চাহিদাও কিন্তু খুবই কম। পর্যটকরাই তাদের নানারকম খাবার দিয়ে থাকে। সেই সব বিড়ালেরা তাতেই খুশি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম