স্থানীয় উদ্যোগে পালিত হচ্ছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একশ বছর
ঈশ্বরদীর পাকশীতে পদ্মা নদীর উপর ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজের শতবর্ষ পালিত হচ্ছে আজ। এ উপলক্ষে রেল বিভাগের কোন আয়োজন না থাকলেও স্থানীয়রাই পালন করছেন – হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একশ বছর।
রেলওয়ে ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, ১৮৮৯ সালে তৎকালীন অবিভক্ত ভারত সরকার আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও উত্তরবঙ্গের সাথে কলকাতার যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
দীর্ঘ ৫ বছর প্রায় ২৪ হাজার শ্রমিক অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৯১৫ সালে ১৭৯৮ মিটার বা ৫৮০০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। সেতুটির নির্মাণে তখন ব্যয় হয়েছিলো প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। ব্রিজটিতে ১৫টি স্প্যান আছে। সেতুটি উদ্বোধন করা হয় ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ। তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের নামানুসারে ব্রিজটির নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
সেতুটির বয়স একশ বছর হওয়ার পরও এটিই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
`হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একশ বছর` উদযাপন পরিষদের আহবায়ক পাকশী রেলওয়ে কলেজের সাবেক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন উদীচী, খেলাঘর ও স্পন্দন যৌথভাবে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ব্রিজের শতবর্ষ স্মরণীয় করে রাখতে। এসব আয়োজনে থাকছে কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।
তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক এ রেল সেতুটির সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে এ সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। পরে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তায় সংস্কার করা হয়।”
পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন বলেন, “এ সেতুটিই বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর একটি। মৈত্রী ট্রেন ভারতে যায় এ সেতুর উপর দিয়ে। আবার ভারত থেকে দর্শনা হয়ে মালবাহী ট্রেনকেও এ সেতু ব্যবহার করতে হয়”।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম