তিনডোরা কাঠবিড়ালি
লম্বা কাশফুল সদৃশ লেজ, ধারালো নখর, বেশ বড় আকৃতির কানযুক্ত দৃষ্টিনন্দন ও দুরন্ত ছোটোখাটো দেহের প্রাণী কাঠবিড়ালি। সারাক্ষণ ছোটাছুটি আর পছন্দের খাবারের খোঁজে গাছে গাছে লাফিয়ে বেড়ানো কাঠবিড়ালীরা শিশুদের কাছেও প্রিয়।
এরা রোডেনশিয়া বর্গের স্কিউরিডে গোত্রের অনেকগুলো ছোট বা মাঝারী আকারের স্তন্যপায়ী প্রজাতির অন্যতম। তিনডোরা কাঠবিড়ালির ইংরেজি নাম Indian Palm Squirrel বা Three-striped Palm Squirrel আর বৈজ্ঞানিক নাম Funambulus palmarum. হচ্ছে কাঠবিড়ালী পরিবারের একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী।
এদের পিঠের ওপর রয়েছে তিনটি সাদা ডোরা দাগ । এর ওপর ভিত্তি করেই এদের নাম ‘তিনডোরা’ হয়েছে বলে ধারণা করা যায়।
তিনডোরা কাঠবিড়ালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃষ্টিপ্রধান বন থেকে আর্কটিক তুন্দ্রা অঞ্চলে বিচরণ করে। গাছের চূড়া থেকে মাটির তলার সুড়ঙ্গেও এদের চলাচল দেখা যায়।
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত তালিকায় রাখা হয়েছে।
২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন ক্যাম্পাসে তিনটি তিনডোরা কাঠবিড়ালির দেখা পাওয়া যায়। তবে; ঢাকা চিড়িয়াখানা ও মিরপুর উদ্ভিদ উদ্যানে (বোটানিক্যাল গার্ডেন) তিনডোরা কাঠবিড়ালির দেখা পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান।
সুন্দরবন ছাড়া দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকার অধিকাংশ জেলায়ই কাঠবিড়ালীদের দেখা মেলে। রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী জেলায়ও এদের চোখে পড়ে।
সাধারণত জোড়া বেঁধে চলতে অভ্যস্থ কাঠবিড়ালীরা। নানা ধরনের ফল, সবজি, বীজ, বাদাম, গাছের বাকল, পোকামাকড় ও খেজুরের রস এদের প্রিয় খাবার।
নিউজবাংলাদেশ.কম
নিউজবাংলাদেশ.কম