News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ২১ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৯:৩৫, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

মৌমাছি সংকটে পেঁয়াজবীজ উৎপাদন ব্যাহত

মৌমাছি সংকটে পেঁয়াজবীজ উৎপাদন ব্যাহত

নাটোর: নাটোরে মৌমাছির অভাবে পেঁয়াজ ফুলে যথেষ্ট পরাগায়ন না হওয়ায় বীজ উৎপাদন ব্যাহত হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর ফলে বীজ উৎপাদনে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌছানো কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পেঁয়াজ বীজ চাষীরা।

উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে প্রতি বছর উৎকৃষ্ট মানের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে নাটোরের নলডাঙ্গার কৃষকরা। কিন্তু মৌমাছির অভাবে পরাগায়ন না হওয়ায় এবার ফলন ১০ ভাগের কম হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

প্রতি বছর এসময়টাতে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন মাঠজুড়ে চোখে পড়ে সাদা ফুলের সমারোহ। কৃষকরা এ ফুলকে ডাকেন কদম ফুল বলে। সাদা রঙের থোকা থোকা ওই ফুলগুলো মূলত পেঁয়াজ ফুল। এ ফুলে মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়ন হবার পর পাওয়া যায় পেঁয়াজ বীজ। কালোজিরা সদৃশ পেঁয়াজ বীজ নলডাঙ্গার কৃষকদের মাঝে ব্লাক ডায়মন্ড বলে খ্যাত।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার হালতি বিলের সোনাপাতিল, তেঘড়িয়া, বাশিলা , পাটুল ও মাধবপুর বিলে রোপন করা অধিকাংশ পেঁয়াজ ফুলে পর্যাপ্ত মৌমাছির অভাবে পরাগায়ন না হওয়ায় ফুল শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। এতে পেঁয়াজের ফুলে আশানুরুপ বীজ তৈরি না হওয়ার আশঙ্খায় দিশেহারা কৃষকরা। এ ক্ষতির হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পেতে স্থানীয় অনেক কৃষক পেঁয়াজ বীজ ক্ষেতে মৌমাছির বাসা (চাক) সংগ্রহ করে বসিয়ে পরাগায়ন ঘটানোর চেষ্টা করছেন।
 
মাধবপুর বিলের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, তার প্রায় এক বিঘা পেঁয়াজ বীজের জমিতে মৌমাছির অভাবে ফুলে পরাগায়ন ঘটছে না। বাধ্য হয়ে অন্য স্থান থেকে মৌমাছির বাসা (চাক) সংগ্রহ করে জমিতে বসানো হয়েছে। এতে পরাগায়নের হার বাড়ছে।

কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, তিনি দীর্ঘ সাত বছর ধরে তিনি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে আসছেন। তার দীর্ঘ সময় তিনি আন্যান্য বছরের মতো এবার মহাসংকটে পড়েছেন।

নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, “এবার নলডাঙ্গা উপজেলায় মোট ৩৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ করা হয়েছে। বিঘা প্রতি দুই থেকে আড়াই মন হলে প্রতি কেজি বীজের দাম ২/৩ হাজার টাকা। এতে এ বছর প্রায় ৮ কোটি টাকা বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।”

বৈরী  আবহাওয়ায় ও মৌমাছির পরাগায়নের অভাবে ফলন কিছুটা কম হতে পারে। তবে সে রকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা এখনও সৃষ্টি হয়নি। সংকট উত্তরণে কৃষি বিভাগ থেকে অনেক জায়গায় মৌমাছির বাসার বাক্স সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান সাইফুল আলম।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়