News Bangladesh

ফিচার ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:০০, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
আপডেট: ২০:০১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

যে কারণে ইউক্যালিপটাস রোপন মানা

যে কারণে ইউক্যালিপটাস রোপন মানা

সারা বিশ্বে ইউক্যালিপটাস গাছ আছে প্রায় ৭০০ প্রজাতির। বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে ডাকা হয় ইউক্যালিপটাস ওবলিকোয়া। এই গাছের কিছু গুণাগুণ থাকলেও প্রকৃতিতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে এই গাছ।

বেশ কিছু আন্তর্জাতিক জার্নালের গবেষণা বলছে- একটি ইউক্যালিপ্টাস গাছ তার আশপাশের প্রায় ১০ ফুট এলাকার ও ভূগর্ভের প্রায় ৫০ ফুট নিচের পানি শোষণ করে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি ২৪ ঘণ্টাই চলতে থাকে। ফলে দ্রুত মাটিতে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এতে আশপাশের অন্য প্রজাতির গাছও জন্মাতে পারে না। গাছটি মাটিকে শুষ্কও করে ফেলে। ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়। 

আরও ভয়ানক তথ্য হলো- গাছটি কেটে ফেললেও মাটির উর্বরতা ফিরে আসতে দীর্ঘ সময় লাগে। এমনকি এ গাছের ফুল ও ফল ঝরে পড়লে সেখানে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেয়। এই গাছের ফুল এবং পাপড়িগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের শ্বাসনালীতে ঢুকে শ্বাসকষ্ট এবং হার্টের অসুখ সৃষ্টি করে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, বাংলাদেশের জলবায়ুর জন্য অত্যন্ত বিপদজ্জনক গাছ হলো ইউক্যালিপটাস। 

ইউক্যালিপটাসের পাতায় এক ধরনের অ্যান্টিসেপটিক থাকায় এর নিচে ছোট গাছ বাড়তে পারে না। মারা যায় পোকা মাকড়ও। যেখানে একসঙ্গে সব ধরনের ছোট বড় গাছ ফসল এবং জলাশয় আছে সেই পরিবেশে এই গাছটি ব্যাপক ক্ষতিকারক। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রোপণকৃত  ইউক্যালিপটাস গাছের কারণে সেসব এলাকার ফসল ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। 

কিন্তু দুঃখের বিষয় এরপরও অনেক মানুষ দ্রুত বাড়ে এবং দেখতে সুন্দর এই ভাবনা থেকে এই মারাত্নক ক্ষতিকর গাছটি রোপন করছেন। বর্তমান সরকার এই গাছ রোপনে বন বিভাগ ও রাস্তার পাশে ইউক্যালিপ্টাস ও আকাশমনি গাছ না লাগাতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি দ্রুত কার্যকর করা উচিত।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়